ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন মিশনের প্রধান এলমার ব্রোক শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, জিম্বাবুয়ে আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর সে কারণে তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সব দল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ন্যায্য সুযোগ পায়।
ব্রোক এবং তার দলের ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নির্বাচনের সময় জিম্বাবুয়েতে প্রথম সফরের পর ব্রাসেলস তাদের অভিজ্ঞতা জানানোর জন্য তাদেরকে জিম্বাবুয়েতে নিযুক্ত করেছিল।
ভিওএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জার্মান নাগরিক ব্রোক বলেন, এই মিশন জিম্বাবুয়ের কর্মকর্তাদের 'প্রকৃত' নির্বাচনী সংস্কারের জন্য ২৩টি সুপারিশ করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য "প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ থাকতে হবে,[রাষ্ট্রীয়] সংবাদ মাধ্যমের নিরপেক্ষতা, দলগুলোর প্রতি সমান আচরণ, ভোটারদের যথাযথ নিবন্ধন, একটি বহুদলীয় লিয়াজোঁ কমিটি রয়েছে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা, নির্বাচনের দিনের আচরণে থাকতে হবে স্বচ্ছতা এবং তারপর ভোট গণনা এবং চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত গণনা সংগ্রহ করা। এটা যদি স্বচ্ছভাবে পরিষ্কার হয়, কোনো ফাঁকফোকর না থাকে তাহলে দেশে শান্তি বজায় রাখার এটাই সর্বোত্তম উপায় এবং নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য তখনকেউ বলবে না যে নির্বাচনে কিছু ভুল হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের কর্মকর্তারা ব্রোকের এই বক্তব্যের বিষয়ে শুক্রবার কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে জিম্বাবুয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী সচিব রাফায়েল ফারানিসি বলেছেন, সরকার ৭ই জুন হারারে ও ব্রাসেলসের কর্মকর্তাদের বৈঠকের অপেক্ষায় আছে।
বছরের পর বছর ধরে জিম্বাবুয়ের নির্বাচন সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং কারচুপির অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ফলে নির্বাচনের ফলাফলও হয়েছে বিতর্কিত।