তালিবান প্রধানমন্ত্রী শনিবার আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের জন্য ইসলামিক অনুশাসন মেনে চলার ব্যাপারে জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার আল্লাহ্ প্রদত্ত "আদেশ" দ্বারা মানবাধিকার চর্চা নিশ্চিত করছে এবং এটি সংশোধন করার দুঃসাহস তাঁরা করতে পারে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল আফগান নারীদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে, এমন নিয়ম, যা সমাজে তাদের "অদৃশ্য" করে তোলে, সেইসব নিয়ম থেকে সরে আসতে তালিবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করার একদিন পর, তালিবানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এলো।
আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ রাজধানী কাবুলে মুসলমানদের ঈদ উপলক্ষে এক সমাবেশে বলেন, “দুই ধরনের মানবাধিকার আছে - একটি যেটি অমুসলিমরা নিজেদের জন্য প্রণয়ন করেছে। অপরটি মানবতার জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত অধিকার।”
তালিবানের সাথে প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো মিত্ররা দেশটি থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করার পর গত আগস্টে উগ্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে শাসকে পরিণত হওয়া দলটি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে।
সেই থেকে, শুধুমাত্র পুরুষপ্রধান তালিবান সরকার তাদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে, জনসমক্ষে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে মহিলাদের পোশাক এবং চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নারীদের জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যারা তা করতে ব্যর্থ হবে তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জেলে যেতে হতে পারে। বেশিরভাগ কিশোরী মেয়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পুনরায় শুরু করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে অক্ষম।