অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জ্বালানি নিঃসরণের কারণে চাঁদে রকেট পাঠানোর চেষ্টা স্থগিত করল নাসা


চাঁদ প্রদক্ষিণের উদ্দেশ্যে নাসার আরটেমিস-ওয়ান রকেট উৎক্ষেপণের নির্ধারিত সময়ের কয়েকঘন্টা আগে, ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল-এ অবস্থিত কেনেডি স্পেস সেন্টারের স্যাটার্ন ফাইভ দর্শনার্থী কেন্দ্রে অপেক্ষমান লোকজন। তারা উৎক্ষেপণটি সরাসরি দেখতে এসেছেন। ২৯ আগস্ট ২০২২।
চাঁদ প্রদক্ষিণের উদ্দেশ্যে নাসার আরটেমিস-ওয়ান রকেট উৎক্ষেপণের নির্ধারিত সময়ের কয়েকঘন্টা আগে, ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল-এ অবস্থিত কেনেডি স্পেস সেন্টারের স্যাটার্ন ফাইভ দর্শনার্থী কেন্দ্রে অপেক্ষমান লোকজন। তারা উৎক্ষেপণটি সরাসরি দেখতে এসেছেন। ২৯ আগস্ট ২০২২।

মানুষকে আবারও চাঁদে পাঠানোর উদ্দেশ্যে তৈরি একটি নতুন রকেট ও ক্রু-ক্যাপসুল সোমবার উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে নাসা। রকেট থেকে জ্বালানি নিঃসরণ শুরু হলে, নাসা এ সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার রকেটটি উৎক্ষেপণের পরবর্তী চেষ্টা চালানো হতে পারে।

নাসা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বজ্রঝড় ছাড়াও, জ্বালানি ভরার সময় রকেটটিতে ছিদ্র পাওয়া যায়। এ করাণে নাসা কর্মীরা সোমবারের বিলম্বকে আর এড়াতে পারেনি।

এই পরীক্ষার মাধ্যমে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট ব্যবস্থা পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এই রকেট ব্যবস্থাটি নাসা’র ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। এবারের যাত্রায় রকেটটি একটি ওরিয়ন ক্যাপসুলকে কোন মানুষ ছাড়াই মহাকাশে নিয়ে যাবে। এরপর ওরিয়ন চাঁদ প্রদক্ষিণ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। পুরো যাত্রাটিতে সময় লাগবে ছয় সপ্তাহ।

পরীক্ষাটি সফল হলে, ২০২৪ সালে নভোচারীদের চাঁদ প্রদক্ষিণ করতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এরপর ২০২৫ সালের মধ্যেই চন্দ্রপৃষ্ঠে তাদের অবতরণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

এবারের রকেট উৎক্ষেপণটি নাসা’র আরটেমিস কর্মসূচির অংশ। ১৯৭২ সালের পর প্রথম আবারও মানুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঠবে, এটাই হলো এই কর্মসূচির লক্ষ্য। এর আর একটি লক্ষ হচ্ছে, প্রথম নারী ও শ্বেতাঙ্গ নন এমন প্রথম কোন ব্যক্তিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঁটার জন্য পাঠানো।

আরটেমিসের অংশ হিসেবে নাসা চাঁদে একটি ঘাঁটি তৈরিরও পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, তারা ঐ ঘাঁটি থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে, সেগুলো মঙ্গল গ্রহে প্রথম নভোচারী পাঠানোর চেষ্টায় নেওয়া উদ্যোগগুলোর সাথে ভাগাভাগি করবে।

XS
SM
MD
LG