অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থা মূল্যায়ন করতে রওনা দিয়েছে জাতিসংঘ দল


২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে প্রকাশিত, ম্যাক্সার টেকনোলজিসের সৌজন্যে প্রাপ্ত এই স্যাটেলাইট ছবি। এতে, নেরদোহারে অবস্থিত ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেখা যাচ্ছে। (এএফপি/স্যাটেলাইট চিত্র ©২০২২ ম্যাক্সার টেকনোলজিস)।
২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে প্রকাশিত, ম্যাক্সার টেকনোলজিসের সৌজন্যে প্রাপ্ত এই স্যাটেলাইট ছবি। এতে, নেরদোহারে অবস্থিত ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেখা যাচ্ছে। (এএফপি/স্যাটেলাইট চিত্র ©২০২২ ম্যাক্সার টেকনোলজিস)।

জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য তাদের একটি দল রওনা দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ-সীমান্তের কাছে অবস্থিত।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি টুইটারে লেখেন যে, তিনি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর এই সপ্তাহের শেষের দিকে দলটি ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে পৌঁছাবে।

গ্রসি বলেন, “আমাদের অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক স্থাপনাটির নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।”

আইএইএ জানায় যে, মিশনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ভৌত ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নির্ধারণ, কর্মীদের অবস্থা মূল্যায়ন এবং “জরুরি রক্ষাকবচ কার্যক্রমগুলো” সম্পন্ন করার দিকে দৃষ্টি দেবে।

ছয়মাস ধরে চলা আহ্রমনের শুরুর দিকেই রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখনও ইউক্রেনের প্রকৌশলীরাই পরিচালনা করছেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবা সোমবার স্টকহোমে সাংবাদিকদের বলেন যে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত । ঐ স্থাপনায় নিরাপত্তাতা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কুলেবা বলেন, “আমরা এই মিশন থেকে পারমাণবিক নিরাপত্তা প্রোটোকলের লঙ্ঘনের তথ্য বিষয়ে একটি পরিষ্কার বিবৃতি আশা করছি। আমরা জানি যে, রাশিয়া শুধু ইউক্রেনকেই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলছে, পারমাণবিক দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে ফেলছে।”

এর কয়েকঘন্টা পর ক্রেমলিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই বলে আহ্বান জানায়, তারা যেন ইউক্রেনকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে উত্তেজনা হ্রাস করতে চাপ দেয়। ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনই গোলাবর্ষণ করে ইউরোপকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

XS
SM
MD
LG