বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং উগান্ডা কর্তৃপক্ষ আগামী তিন মাসের জন্য দেশটিতে ইবোলা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার চাইছে। উগান্ডায় বর্তমান ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ফলে প্রথম এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ সাতজনের মৃত্যুর পর এই উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে। উগান্ডায় এ পর্যন্ত মোট ৩৫ জনের ইবোলায় আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গেছে।
বর্তমান প্রাদুর্ভাবের সময় প্রথম চিকিৎসা কর্মীর মৃত্যুর খবর উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ জেন রুথ অ্যাসেং প্রকাশ করেন। তিনি কাম্পালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত একটি উচ্চ-স্তরের রুদ্ধ দ্বার বৈঠকের পরে মিডিয়ার সাথে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার, মন্ত্রকটি ঘোষণা করে, ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে ইবোলা সুদান প্রকরণ আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আরও দুজনের অবস্থা গুরুতর।
যে স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন, তিনি তানজানিয়ার নাগরিক, তাকে মুবেন্দে জেলার ফোর্ট পোর্টালের পার্শ্ববর্তী জেলার একটি হাসপাতালে একটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যেখানে তিনি প্রথম ইবোলা রোগীর দেখা-শোনা করেছিলেন।
অ্যাসেং বলেন, “আজ, আমাদের কাছে ৩৫ টি নিশ্চিত সংক্রমণের খবর রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা সাতজনকে হারিয়েছি এবং তাদের মধ্যে একজন চিকিত্সক ।এটা সত্য যে আমাদের ৬৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন যারা ইবোলার সংস্পর্শে এসেছেন। এখন এই ৬৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সবাই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।”
বর্তমান ইবোলার সুদান প্রকারণ এখন পর্যন্ত উগান্ডার চারটি জেলাকে প্রভাবিত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে মুবেন্দে, যার কেন্দ্রস্থল মাদুদু সাব কাউন্টি, কিয়েগওয়েগওয়া, কাসান্ডা এবং এখন কাগাদি জেলা।
২০১৯ সালে, উগান্ডার শেষ ইবোলা প্রাদুর্ভাব, জাইরে ইবোলাভাইরাস বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশটি সর্বশেষ সুদান ইবোলাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের রিপোর্ট করেছিল ২০১২ সালে।