অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার জন্য ইরানের উপর 'আরও চড়া মূল্য আরোপের' প্রতিশ্রুতি বাইডেনের


ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে, তেহরানে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। (ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি/রয়টার্স) ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে, তেহরানে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। (ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি/রয়টার্স) ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

হিজাব দিয়ে চুল সঠিকভাবে ঢেকে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দেশটির নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে থাকা এক তরুণীর মৃত্যুর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এর প্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার বলেছেন, এই সপ্তাহে ইরানের উপর "আরও চড়া মূল্য আরোপ করার" পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ব্যাপারে টুইটার একটি পোস্ট করেন বাইডেন। তবে, তেহরান সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তিনি কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানি নারী ও ইরানি নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে যারা তাদের সাহসিকতা দিয়ে বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করছেন। আমরা ইরানিদের অবাধে প্রতিবাদ করার অধিকারকে সমর্থন করে যাব।”

এখন তাদের বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। দেশটির সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, এ পর্যন্ত অন্তত ১,৫০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মারা গেছে কমপক্ষে ১৪ জন। তবে অধিকার গ্রুপগুলি বলছে, হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৩০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর পরে ব্যাপক বিক্ষোভগুলি "সাধারণ ইরানিদের" কাজ নয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলকে এই বিক্ষোভের পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

খামেনি বলেছেন, আমিনির মৃত্যু সত্যিই একটি "দুঃখজনক ঘটনা" এবং এতে তাঁর হৃদয় ভেঙে গেছে।

দেশটিতে পোশাক পরার কঠোর নিয়ম না মানার অভিযোগে, তেহরানে আমিনিকে গ্রেপ্তার করে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ এবং হাসপাতালে তিন দিন অচেতন পড়ে থাকার পর তিনি মারা যান।

সরকার জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিবার সরকারের সেই দাবী প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আমিনির হৃদরোগের কোনো ইতিহাস ছিল না এবং তাকে মারধর করা হয়েছিল। তারা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, "তার [বেঁচে] না থাকার একমাত্র কারণ হল ইরানের নৃশংস শাসন। কারণ তিনি কী পরবেন বা কী পরবেন না, সে বিষয়ে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন।"

এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG