সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ১৮০ জন রোহিঙ্গাসহ একটি সম্ভাব্য নৌকাডুবির ঘটনা, ২০২২ সালকে প্রায় একদশকের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য সমুদ্রে সবচেয়ে মারাত্মক বছরে পরিণত করতে পারে বলে জাতিসংঘের এক সংস্থা জানিয়েছে।
নৌকায় করে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এক বছর আগের তুলনায় এই বছর পাঁচগুনের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অধিকার সংস্থাগুলো ধারণা করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ফলে এমন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এক পছন্দের গন্তব্যস্থল।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) বলেছে তারা শঙ্কা করছে যে, নভেম্বরের শেষ দিকে যাত্রা আরম্ভ করা একটি নৌকা নিখোঁজ হয়েছে এবং সেটিতে থাকা ১৮০ জনের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে যে, সমুদ্রযাত্রার অনুপযোগী নৌকাটিতে হয়ত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ফুটো দেখা দেয়, যার পরে সেটি নিখোঁজ হয়ে যায়। সংস্থাটি আরও বলে যে, নৌকাটি কোথা থেকে যাত্রা আরম্ভ করেছিল তা পরিষ্কার নয়, কিন্তু তিনজন রোহিঙ্গা ব্যক্তি, যাদের একজনের পরিবার ঐ নৌকাটিতে ছিল, তারা জানিয়েছেন যে, নৌকাটি বাংলাদেশ থেকে যাত্রা আরম্ভ করেছিল।
এইবছর ইতোমধ্যেই সমুদ্রে প্রায় ২০০ জন রোহিঙ্গা নিহত বা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে শঙ্কা করা হচ্ছিল। ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র বাবর বেলোচ বলেন, “আশার বিরুদ্ধে আমরা আশা করছি যে, নিখোঁজ ঐ ১৮০ জন হয়ত এখনও কোথাও জীবিত আছেন।”
ইউএনএইচসিআর এর হিসেব অনুযায়ী, আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ২০১৩ সালে প্রায় ৯০০ জন রোহিঙ্গা এবং ২০১৪ সালে ৭০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত বা নিখোঁজ হন।
ইউএনএইচসিআর এর বেলোচ বলেন যে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পর ২০২২ সাল নিহত ও নিখোঁজ এর হিসেবে সবচেয়ে ভয়াবহ বছরগুলোর একটি।