ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র খারকিভ অঞ্চলের একটি বাজারে আঘাত হেনেছে। এতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি খারকিভ শহর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শেভচেনকোভ গ্রামে আঘাত হানে।
রাশিয়া বারবার ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা সামরিক সহায়তার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় অংশীদারদের অস্ত্র সরবরাহ সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
সোমবার এক ব্রিফিং-এ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকফ সাংবাদিকদেরকে বলেছেন যে আরও পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ “ইউক্রেনের জনগণের দুর্ভোগকে আরও ঘনীভূত করবে।”
রাশিয়া প্রায় ১১ মাস আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের কাছ থেকে দ্রুত ভোটে এই অভিযানের নিন্দা জানানো হয় এবং রাশিয়াকে তার বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রবিবার রাতে তার ভাষণে বলেছেন, বছরের প্রথম সপ্তাহে ফ্রন্টলাইনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি, তবে পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক এবং ডনেটস্ক অঞ্চলে প্রচণ্ড লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
জেলেন্সকি বাখমুত শহরের লড়াইয়ের ওপর আলোকপাত করে, এটিকে “ফ্রন্টলাইনের সবচেয়ে রক্তাক্ত স্থানগুলোর মধ্যে একটি” বলে অভিহিত করেছেন। সোমবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া যুদ্ধের “মরিয়া প্রচেষ্টার” অংশ হিসেবে নিকটবর্তী শহর সোলেদারে শক্তিবৃদ্ধি করেছে।
এক সময় বাখমুত শহরের জনসংখ্যা ছিল ৭০ হাজার। শহরটির বেশিরভাগ অংশই এখন পরিত্যক্ত, এর হ্রাসমান জনসংখ্যা স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় টিকে আছে। তারা সুরক্ষা কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে সহায়তা করে। কেন্দ্রগুলো প্রায়শই বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট পরিষেবা, তাপ, জল এবং ওষুধ দেয়ার জন্য তাবু স্থাপন করে থাকে।
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।