ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো’র কংগ্রেসে অবস্থিত তিনজন মিত্রের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বুধবার ব্রাজিলের ফেডারেল অভিশংসকগণ অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি উস্কে দিয়েছিলেন।
তদন্তের আহ্বানটি এমন সময়ে করা হল যখন কিনা বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দ্যা সিলভা’র সরকার বুধবারে নতুন করে আরম্ভ হওয়া প্রতিবাদের বিরুদ্ধে বর্ধিত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে, বোলসোনারো-পন্থী সামাজিক মাধ্যমে “ক্ষমতা পুনর্দখলের” জন্য গণবিক্ষোভের প্রস্তাবগুলো বাস্তবে রূপ নেয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে যে, রবিবার ব্রাসিলিয়ায় সরকারি ভবনে হামলার ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১,১৫৯ জন এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ আরও জানায় যে, প্রায় ৬৮৪ জনকে “মানবিক কারণে” মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে বয়োঃবৃদ্ধ মানুষজন, স্বাস্থ্য সমস্যা সম্বলিত মানুষজন এবং কমবয়স্ক শিশুদের পিতামাতা।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভগুলোর আয়োজকরা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামাজিক মাধ্যমে রাস্তা ও শোধনাগারগুলো বন্ধ করে দেওয়ার, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার এবং এমন যথেষ্ট বিশৃঙ্খলা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে করে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে গত অক্টোবরের নির্বাচনটি বাতিল হয়ে যায়। ঐ নির্বাচনে বোলসোনারো লুলা দ্য সিলভার কাছে পরাজিত হন।
রবিবারের দাঙ্গার পর ফেডারেল কর্মকর্তা রিকার্ডো কাপেলি-কে রাজধানীর জননিরাপত্তার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বলেন যে, ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সকল নিরাপত্তা বাহিনীকেই মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবারের ঘটনায় বোলসোনারোর হাজার হাজার সমর্থক ব্রাসিলিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট, কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্টের দফতর তছনছ করে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।
.কাপেলি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন এবং একটি সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা সফল হবেন না।”