বুধবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এই দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম উন্মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
সম্মেলনের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইয়েলেন বলেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে “কিছু ব্যাপারে মতবিরোধ” থাকলেও দুই দেশেরই “আমাদের মতপার্থক্য সামলে নিয়ে যেকোন প্রতিযোগিতাকে সংঘাতের কাছাকাছি হওয়া থেকে বিরত রাখাই কর্তব্য।“
লিউ বলেন, “সংলাপ ও বিনিময় বজায় রাখতে” এবং অভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চীন প্রস্তুত।
গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এ বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সার্বভৌম ঋণ, বিশেষত চীনের ক্রমবর্ধমান সুদের হারে সম্ভাব্য খেলাপির মুখোমুখি হচ্ছে এমন কয়েকটি নিম্ন-আয়ের দেশের বিশাল ঋণ নিয়ে আলোচনা চলবে বলে মনে করা হছে। একই সাথে শীর্ষ বৈঠকের সময় ইয়েলেন বেইজিংকে এই দেশগুলির ঋণ মওকুফ করার জন্য অনুরোধ করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত নভেম্বরে বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে যে সমঝোতায় পৌঁছেছেন, তারই ফলশ্রুতিতে বুধবার জুরিখে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি।
প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স থেকে নেয়া।