অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরিত্রিয়ার সেনারা ইথিওপিয়ার শায়ার শহর ছেড়ে চলে গেছে


ফাইল ছবি--ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলের শহর শায়ারের আফ্রিকা হোটেলের জানালায় বুলেটের আঘাতে সৃষ্ট ছিদ্র দিয়ে একটি ভবন দেখা যাচ্ছে (১৬ মার্চ, ২০২১)
ফাইল ছবি--ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলের শহর শায়ারের আফ্রিকা হোটেলের জানালায় বুলেটের আঘাতে সৃষ্ট ছিদ্র দিয়ে একটি ভবন দেখা যাচ্ছে (১৬ মার্চ, ২০২১)

ইরিত্রিয়ার অসংখ্য সেনা ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলের শায়ার শহর ছেড়ে চলে গেছে। এ অঞ্চলের এক বাসিন্দা ও দু’জন মানবিক সহায়তা কর্মী রয়টার্সকে শনিবার জানায়, সেখানে এই সেনারা দুই বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধে সরকারী বাহিনীকে সহায়তা করছিল।

ইথিওপিয়ার সরকার ও টিগ্রায় আঞ্চলিক বাহিনীর মধ্যে নভেম্বরে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও ইরিত্রিয়ার বাহিনী এতদিন টিগ্রায় অঞ্চলে অবস্থান করছিল। এই চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি অব্যাহত রাখার জন্য এই অঞ্চল থেকে সকল বিদেশী যোদ্ধা প্রত্যাহার করে নেওয়া।

ধারণা করা হয়, টিগ্রায়ের যুদ্ধে কয়েক লাখ না হলেও অন্তত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে।

ইরিত্রিয়ার বাহিনীর টিগ্রায়ের অন্যতম বড় শহর শায়ার থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি পাকাপাকি ভাবে সেনা প্রত্যাহারের উদ্যোগ না তাদেরকে অন্য কোথাও মোতায়েন করা হবে, সেটি তাৎক্ষণিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত মাসেও প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং ইথিওপিয়ার এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরিত্রিয়ার সেনারা শায়ার ও আরও দুটি প্রধান শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত আর যাননি।

এ বিষয়ে ইরিত্রিয়ার তথ্য মন্ত্রী ইয়েমান গেব্রেমেসকেল তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সরকারের আলোচনা দলের অন্যতম সদস্য রেদওয়ান হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্স যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।

টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মুখপাত্র গেতাচিউ রেদাও কোনো মন্তব্য করেননি।

যুদ্ধের সময় ইরিত্রিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে সেখানকার অধিবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা বেশ কয়েক ধরনের অনিয়মের অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে আছে ২০২০ সালের নভেম্বরে আকসুম শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শত শত বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ। ইরিত্রিয়া এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইরিত্রিয়া টিগ্রায়ের বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী সংগঠন টিপিএলএফকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে। ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়া ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একে অপরের সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে। সে সময় টিপিএলএফ ইথিওপিয়ার সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল।

XS
SM
MD
LG