সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে এই অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। তিনি আগামী ৫ বছর এবং তার পর দ্রুত ক্রমহ্রাসমান জন্মহার মোকাবিলা করার পাশাপাশি যাতে দেশটি জাতীয় শক্তি বজায় রাখতে পারে সেজন্য নতুন গৃহীত নিরাপত্তা কৌশলের অধীনে সামরিক শক্তিবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই কৌশলের মাধ্যমে জাপান চীনের ক্রমবর্ধমান দৃঢ় আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। এটি এশিয়ার আরও অনেক দেশ যেগুলো বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের আগ্রাসনের শিকার হয়েছিল তাদের জন্যও সংবেদনশীল একটি সমস্যা।
এই মাসে কিশিদা জাপানের নতুন প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি দেশ সফর করেছেন।
জাপান ৫ বছরের মধ্যে তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ৪৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৩৩ হাজার ২শ কোটি ডলার) উন্নত করার পরিকল্পনা করেছে যা পূর্বের প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ। তারা সাইবারস্পেস এবং গোয়েন্দা সক্ষমতা উন্নত করার পরিকল্পনা করেছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে কিশিদা একটি গুরুতর প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন।
সাড়ে ১২ কোটির বেশি মানুষের দেশ জাপানের জনসংখ্যা ১৪ বছর ধরে হ্রাস পাচ্ছে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যা ৮ কোটি ৬৭ লাখে নেমে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমন ক্রমহ্রাসমান এবং বার্ধক্যে জর্জরিত জনসংখ্যা দেশটির অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব ফেলে।
জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি কিন্তু দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি এবং মজুরি বৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে এসেছে।
এখন পর্যন্ত গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং শিশু যত্নের জন্য ভর্তুকি প্রদানের পরেও তা মানুষকে আরও শিশু জন্ম দিতে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টায় সীমিত প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,অল্পবয়স্কদের পরিবার গঠনের ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধা রয়েছে সেগুলো দূর করার পরিবর্তে সাধারণত সরকারি ভর্তুকি এখনো এমন অভিভাবকদেরকে দেয়া হয় যাদের ইতোমধ্যেই সন্তান আছে।