ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে তারা অতিরিক্ত চারটি সামরিক স্থাপনায় প্রবেশাধিকার প্রদান করেছে। এর কারণ চীনের আরও জবরদস্তিমূলক এবং আগ্রাসী মনোভাব সম্পর্কে ফিলিপাইনের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ফিলিপাইনে দুদিনের সফর সম্পন্ন করা এবং দেশটির সামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিক বৈঠক করার পর এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তিটির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এখন থেকে ফিলিপাইনের ৯টি সামরিক স্থাপনায় সহায়তা প্রদান করবে।
অস্টিনের সফর এবং চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সংশোধন করা এবং চীনকে মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনের মধ্যকার কয়েক মাসের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর সম্পন্ন হয়। চীন দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের আঞ্চলিক দাবিকে ক্রমাগতভাবে পদদলিত করে চলেছে।
২০১৪ সালে ফিলিপাইনের সাথে উন্নত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান ৫টি স্থাপনার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। স্থাপনাগুলো হলোঃ ফোর্ট ম্যাগসেসে সামরিক সংরক্ষণ, লুম্বিয়া বিমান ঘাঁটি, আন্তোনিও বাতিস্তা বিমান ঘাঁটি এবং ম্যাকটান বেনিটো ইবুয়েন বিমান ঘাঁটি।
ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫০০ জন সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ জন সেনা দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের একটি শহর জাম্বোয়াঙ্গায় অবস্থান করছে। শহরটি বারবার সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে কিছু জঙ্গি ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠির পূর্ব এশিয়ার সহযোগী সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, দেশ দুটি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সামরিক সম্পর্ক প্রসারিত করার সাথে সাথে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাস দমনের যে প্রচেষ্টা তা থেকে শেখা সহযোগিতা এবং পাঠগুলো বহন করবে।