অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সোমালিয়ার ক্ষুধা সংকট নিরসনে ২৬০ কোটি ডলারের সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ


শাবালের নিম্নাঞ্চলে তার অপুষ্ট মেয়ে ডেকা আলীকে নিয়ে পালিয়ে আসা মাইরয়ান মেডলে , মোগাইদশুর বাইরে , সোমালিয়া , সেপ্টেম্বর ৩,২০২২।
শাবালের নিম্নাঞ্চলে তার অপুষ্ট মেয়ে ডেকা আলীকে নিয়ে পালিয়ে আসা মাইরয়ান মেডলে , মোগাইদশুর বাইরে , সোমালিয়া , সেপ্টেম্বর ৩,২০২২।

জাতিসংঘ এ বছর সোমালিয়ার ৭৬ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য ২৬০ কোটি ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। দেশটির জনগণ সংঘাত, খাদ্যের উচ্চমূল্য এবং নজিরবিহীন খরার কারণে তীব্র ক্ষুধা ও সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন।

হর্ন অফ আফ্রিকা বা আফ্রিকা শৃঙ্গের অন্য অংশের সঙ্গে টানা পাঁচ বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় সোমালিয়া ঐতিহাসিক খরার কবলে পড়েছে।

জাতিসংঘের সোমালিয়া সংক্রান্ত মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়ক আবদেলমৌলা বলেন, সোমালিয়ার প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ বর্তমানে উচ্চমাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে এই সংখ্যা ৮৩ লাখে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ২৭ হাজার মানুষ মারাত্মক ক্ষুধার মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ বলেছে, বাইদোয়া ও বুরহাকাবা জেলার বাসিন্দারা এবং উপকুল অঞ্চলের বাইদোয়া শহর ও মোগাদিশুর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। এ ছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ সোমালিয়ার বেশ কিছু এলাকার মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আবদেলমৌলা বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দেওয়া আর না দেওয়ার মধ্যে এখন আর কোনো পার্থক্য নেই। কারণ লাখ লাখ সোমালি ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষর মুখে পড়েছেন এবং শিশুরা সত্যিই ক্ষুধার্ত।

বৃষ্টিবিহীন তিনটি বর্ষা ঋতুর পর ২০১১ সালে সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। এতে আড়াই লাখ মানুষ মারা যায়, যার অর্ধেকই ছিল শিশু। দেশটিতে টানা পাঁচ বছর ধরে বর্ষায় বৃষ্টি হচ্ছে না। সামনে যে বর্ষাটি আসন্ন সেটির পূর্বাভাসও আশাব্যঞ্জক নয়।

২০১১ সালের দুর্ভিক্ষের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে “আর কখনো নয়” বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার উল্লেখ করে আবদেলমৌলা দাতাদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG