যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে, প্রায় ১ বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর প্রথম সপ্তাহে রুশ বাহিনীতে হতাহতের যে সংখ্যা ছিল, খুব সম্ভবত গত ২ সপ্তাহে তার চেয়েও বেশি সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পতিরক্ষা মন্ত্রক এই পর্যবেক্ষণের কথা জানায়। তারা জানিয়েছে, গত ৭ দিনে গড়ে প্রতিদিন রুশ বাহিনীর ৮২৪ জন করে সদস্য আহত অথবা নিহত হচ্ছে। জুন ও জুলাই মাসের গড়ের চেয়ে এটি ৪ গুণেরও বেশি। মন্ত্রকটি আরও জানিয়েছে, এটা খুব সম্ভবত ইউক্রেনের কাছ থেকে পাওয়া “নির্ভুল” পরিসংখ্যান।
রুশ বাহিনীতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার পেছনে “সম্ভাব্য কারণ” হিসেবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রক বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছে। যার মধ্যে আছে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত সেনা, সমন্বয় ও সম্পদের স্বল্পতা। টুইটারে প্রকাশ করা যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ইউক্রেন এখনও বড় পরিসরের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শনিবার জানায়, রাশিয়ার ফেডারেল পেনাল সার্ভিসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ২০২২ এর ডিসেম্বর থেকে কয়েদী নিয়োগ দেওয়ার হার কমিয়েছে। ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের চাকরিতে “কঠোর বাস্তবতার” খবর খুব সম্ভবত “কয়েদিদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এ কারণে স্বেচ্ছায় যোগদানকারীদের সংখ্যা কমে গেছে”।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরো বলছে যে রাশিয়া এখন কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি পৌঁছেছে। এখন রাশয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কী তাদের “ সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তা হ্রাস অব্যাহত রাখবে এবং যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে ব্যাহত করবে; না-কি নতুন করে সেনা সমাবেশের দিকে এগুবে”।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার বলেছেন, তিনি ইইউ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে শুনেছেন যে তারা বিমান সরবরাহ করতে প্রস্তুত। এই উদ্যোগ এমন ইঙ্গিত দেয় যে এটি হবে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি।