সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ৫০ শতাংশ আমেরিকান ইঙ্গিত করেন যে তাদের বিশ্বাস, জাতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে, ভুল তথ্য দিতে বা প্ররোচিত করতে চায়।
গ্যালপ এবং নাইট ফাউন্ডেশন প্রকাশিত বুধবারের এই সমীক্ষাটি অন্য যে সকল গবেষণায় গণমাধ্যমের ওপর কম আস্থার পরিমাণ দেখা গেছে সেটিকে ছাড়িয়ে গেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, অনেকে বিশ্বাস করে যে, গণমাধ্যমের প্রতারণা করার উদ্দেশ্য রয়েছে।
জাতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো বিভ্রান্ত করার ইচ্ছা রাখে না- এমন বিবৃতির সাথে তারা একমত কি না জানতে চাইলে, ৫০ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা একমত নন। গবেষণায় পাওয়া গেছে, শুধুমাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ এই বিবৃতির সাথে একমত।
একইভাবে গবেষণায় পাওয়া গেছে, ৫২ শতাংশ এই বিবৃতির সাথে একমত নন যে, জাতীয় সংবাদের প্রচারকারীরা “তাদের পাঠক, দর্শক এবং শ্রোতাদের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি যত্নশীল।” এতে বলা হয়েছে, ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে, সাংবাদিকরা জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করছেন।
প্রচুর মানুষের হাতে থাকা ডিভাইস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে খবর জানার ক্ষমতা, সংবাদের দ্রুত গতি এবং সংবাদ সুত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে যে আগের যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি আমেরিকান খবর ফলো করেন।চ
বরং অতিরিক্ত তথ্যের বিপরীত প্রভাব আছে বলে মনে হয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৬১ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করে, এটি অবগত থাকাকে কঠিন করে তোলে, আর ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করে, এটি সহজ করেছে।
অন্যান্য অনেক গবেষণার মতো নাইট এবং গ্যালপের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটরা খবর বেশি বিশ্বাস করে। গত ৫ বছরে বিশেষ করে স্বতন্ত্রদের মধ্যে অবিশ্বাসের মাত্রা বেড়েছে।