বাফেলো, নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা সুজান টেইলর যদিও জানতেন যে ৯৮ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে, তবু জর্জিয়ার প্লেইনসে হসপিস কেয়ারে প্রবেশ করার খবরে তারা হতবাক হয়েছেন।
স্কাইপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আমি সকালের নাস্তায় কেঁদেছিলাম। আমাকে স্বীকার করতে হবে, এটি আমার জন্য কিছুটা জেগে ওঠার ডাক ছিল, আমরা কোনও এক সময়ে তাকে হারাতে যাচ্ছি।“
২০০৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, টেইলর শত শত স্বেচ্ছাসেবকদের একজন ছিলেন যারা কার্টার এবং তার স্ত্রী রোজালিনের সাথে তাদের বার্ষিক হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি ওয়ার্ক প্রজেক্টে কাজ করেন। তারা অভাবগ্রস্তদের জন্য বিশ্বজুড়ে বাড়ি তৈরি করেছিলেন।
লেখক জোনাথন অল্টার একমত হয়ে বলেন, "এটা দুঃখজনক। তিনি একটি মহাকাব্যিক আমেরিকান জীবন যাপন করেছেন।“
অল্টার পাঁচ বছর ধরে জিমি কার্টারকে নিয়ে একটি জীবনী লিখছিলেন যার শিরোনাম "হিজ ভেরি বেস্ট"। একারণে তিনি স্বাস্থ্যের অবনতির আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সাক্ষাত্কার এবং পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি পান।
"আপনি যদি তার জীবনের হিসাব করেন, দেখবেন তিনি বিজয়ী। সম্প্রতি স্কাইপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অল্টার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “৯৮ বছর ধরে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রায় ৭৭ বছর ধরে বিবাহিত।“
"আমি মনে করি জিমি কার্টার তার নিজের শর্তে তার যাত্রা শেষ করছেন। তিনিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যিনি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন, কিন্তু তিনি হাসপাতালে মরতে চান না। ১৯৬১ সালে তিনি এবং রোজালিন যে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার। এটি থেকে আপনি তার নম্রতা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবেন। বাড়িটির বেশিরভাগ আসবাবপত্র তিনি তৈরি করেছিলেন। তিনি ৬৬০ জন লোকের শহরে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন যেখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এতে এক ধরনের পুনরাবৃত্তি রয়েছে।"
অল্টার বলেন, তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বকে বদলে দিয়েছেন, মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন।