অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনে বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়ার বিশেষায়িত বাহিনী


ইউক্রেনে বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়ার বিশেষায়িত বাহিনী। (ফাইল ছবি)
ইউক্রেনে বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়ার বিশেষায়িত বাহিনী। (ফাইল ছবি)

ইউক্রেনে, একটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রুশ পদাতিক বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি গোয়েন্দা হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলেছে, দোনেৎস্ক ওব্লাস্টের ভুহলেদার অংশ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, রাশিয়ার ১৫৫তম নৌ পদাতিক ব্রিগেডের গাড়িগুলোর সঙ্গে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো রাখা হয়েছে।

ব্রিটিশ মন্ত্রক বলেছে, নৌ পদাতিক বাহিনীকে "যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন কৌশলগত মিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তারা ব্যাপক হতাহতের শিকার হয়েছে।” টুইটারে পোস্ট করা মন্ত্রকটির হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ পদাতিক ব্রিগেডের সক্ষমতা "প্রায় নিশ্চিতভাবে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে"।কারণ এর ইউনিটগুলো "অনভিজ্ঞ কর্মী" দিয়ে পুনর্গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেন আক্রমণের কারণে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক বিবৃতিতে ইইউ প্রেসিডেন্ট বলেন, সামরিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, রাশিয়ার সামরিক শিল্পকে সহযোগিতাকারী বা তাদের সঙ্গে কাজ করা কোম্পানি এবং ওয়াগনার গ্রুপের কমান্ডারদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও হেলিকপ্টারসহ রুশ সমরাঅস্ত্রে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক উপাদান রপ্তানি সীমিত করা হয়েছে। আর, কিছু বিরল খনিজ পদার্থ, ইলেকট্রনিক সার্কিট ও থার্মাল ক্যামেরা রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায়, রাশিয়ার আরও তিনটি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলায় ব্যবহৃত সামরিক ড্রোন সরবরাহকারী ইরানের ৭টিসহ আরও ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এই নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করেছেন। তিনি তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক খাত ও "ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ঐ সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের সাথে জড়িত সকলের" উপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াতে কাজ করছে ইউক্রেন।

রাশিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার তাতিয়ানা মোসকালকোভাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। তিনি বলেন, তাকে তালিকাভুক্ত করার অর্থ হলো “মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনি বিধি-বিধান লঙ্ঘন করা।”

নয়াদিল্লি থেকে ভিওএ'র অঞ্জনা পাসরিচা এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।এপি এবং রয়টার্স থেকে কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG