প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সমস্যার কারণে আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল গণতান্ত্রিক দেশ নাজেরিয়ায়, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য শনিবার ভোট দিতে পারেনি বেশকিছু নাগরিক। রবিবার তারা আবার ভোট দিতে আসেন।
ষাট বছর বয়সী সরকারি কর্মকর্তা প্রাই ইটি রয়টার্সকে বলেন, 'পুরো প্রক্রিয়াটিই চরম বিশৃঙ্খলয় ভরা। আমি গতকাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। এখন আমি আবার সকাল সাড়ে আটটায় এখানে ফিরে এসেছি।”
নাইজেরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে বা সর্বোচ্চ আট বছর দায়িত্ব পালনের পর, দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি। নাইজেরিয়ার প্রায় ৯ কোটি নাগরিক এই নির্বাচনে বৈধ ভোটার।এই নির্বাচনে, একই সঙ্গে তারা জাতীয় পরিষদের(ন্যাশনাল এসেম্বলি)সদস্যদেরও নির্বাচিত করবেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে অভিজ্ঞ প্রার্থীরা হলেন; ক্ষমতাসীন অল প্রগ্রেসিভস কংগ্রেস পার্টি মনোনীত লাগোসের সাবেক গভর্নর বোলা টিনুবু (৭০) এবং প্রধান বিরোধী দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনীত সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকু আবুবকর (৭৬। তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী হলেন লেবার পার্টির পিটার ওবি (৬১)। এর মধ্যে, ওবিকে সমর্থন করছে বেশিরভাগ তরুণ ভোটার।
নাইজেরিয়া এখন নগদ অর্থের ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানি ঘাটতি মোকাবেলা করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অতীতে নাইজেরিয়ার নির্বাচনে জালিয়াতি ও সহিংসতার অভিজ্ঞতা রয়েছে।এবার, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা এই সপ্তাহে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নাইজেরিয়ার স্বাধীন জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে।
রয়টার্স ও এএফপি থেকে এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।