সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে আবার ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ১১০ জন লোক আহত হয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
এর আগে, ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়াতে ৫০০০০ জনের বেশি লোকের মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পর নতুন করে আবার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানল।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের জন্য সোমবার তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবারের ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মালতয়া প্রদেশের ইয়েসিলিউর্ট।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সেজার বলেছেন, পাঁচটি ভবনে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এএফএডি-এর ভূমিকম্প ও ঝুঁকি কমানোর মহাপরিচালক ওরহান তাতারের মতে, গত তিন সপ্তাহে এই অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, পাশাপাশি ১০০০০টির বেশি আফটার শক অনুভূত হয়েছে।
সমালোচকরা সরকারকে প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের পর জরুরি অবস্থার প্রতিক্রিয়া খুব ধীর ছিল বলে অভিযুক্ত করেছেন। বিরোধী দলগুলি বলেছেন, এরদোয়ান সরকারের বিল্ডিং প্রবিধান প্রয়োগে ব্যর্থতাই ব্যাপক সংখ্যক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ানও স্বীকার করেছেন, তার সরকারের প্রতিক্রিয়া অনেকের কাছেই অপর্যাপ্ত বলে মনে হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারির প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে, তুরস্কের ১,৭৩,০০০ ভবন ধসে পড়ে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, একে দেশটির আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এপি থেকে নেয়া হয়েছে।