অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে তালিবান শুধুমাত্র পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে


কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর এক তরুণী নারীদের উচ্চশিক্ষার ওপর তালিবানের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। আশেপাশে তালিবান রক্ষীরা দাঁড়িয়ে আছে। ফাইল ছবি।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর এক তরুণী নারীদের উচ্চশিক্ষার ওপর তালিবানের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। আশেপাশে তালিবান রক্ষীরা দাঁড়িয়ে আছে। ফাইল ছবি।

তালিবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং অন্যান্য কয়েকটি শহরে রাষ্ট্র-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় খোলার ঘোষণা দিয়েছে। তবে তারা বলেছে, শুধুমাত্র পুরুষ শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে।

তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উচ্চশিক্ষার জন্য সুপ্রিম কাউন্সিলের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তুলনামূলকভাবে শীতল আবহাওয়ার প্রদেশগুলোর সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরুষ শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন চলতি বছরের ৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।”

দেশটির ইসলামপন্থী সরকার গত বছর নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল। তারা বলেছিল, নারীরা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে লিঙ্গ-ভিত্তিক ধর্মীয় বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালন করেনি।

তালিবান ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালিবান নারী শিক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞাটি অস্থায়ী।

ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের একজন আফগান কর্মী এবং গবেষক ওরজালা নেমাত বলেছেন, “মেয়েদের মাধ্যমিক, উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তালিবানের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।” “জনসাধারণ, সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব, ধর্মীয় পণ্ডিত এবং এমনকি তাদের নিজেদের কিছু সদস্য এই অনৈসলামিক এবং অন্যায় কাজটিকে সমর্থন করতে বিব্রত বোধ করছেন।”

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, আফগানিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে নারী এবং বালিকাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা এবং কাজ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্যমূলক নীতি বজায় রাখা হয়েছে, যদিও সে কারণে শত শত মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

XS
SM
MD
LG