উত্তর কোরিয়া রবিবার সমুদ্রের দিকে একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। দেশটির প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, চলমান যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা পরীক্ষামূলক কার্যক্রম বাড়িয়েছে, যা ওই অঞ্চলে আক্রমণের একটি মহড়া হিসাবে দেখা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ধারাবাহিকতা, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া সত্ত্বেও পিছিয়ে না যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। চলমান মহড়াটি বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের একটি মহড়া। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই পরীক্ষাগুলো উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডার সম্প্রসারণ, পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার বড় লক্ষ্যের একটা অংশ।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মূল্যায়ন অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় টংচাংরি এলাকা থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশটির পূর্ব উপকূলের পানিতে অবতরণ করার আগে দেশটির ওপর দিয়ে উড়ে যায়। তারা বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করেছে, এমন একটি পরিসীমা যা ইঙ্গিত করে যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়াকে আঘাত হানতে সক্ষম।
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান পরমাণু দূতরা টেলিফোনে উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কোরীয় উপদ্বীপসহ ওই অঞ্চলে শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
জাপানের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইনো বলছেন, রবিবারের উৎক্ষেপণের পর, কিশিদা দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করাসহ একটি তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার আদেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বর্তমান মহড়া শেষ হওয়ার পর, এই মাসের শেষের দিকে একটি আমেরিকান বিমানবাহী রণতরীকে অন্তর্ভুক্ত করে আরও প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করছে। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কোরীয় উপদ্বীপে শত্রুতা আরও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, কারণ উত্তর কোরিয়াও অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে সেই মহড়ার জবাব দেবে।