ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, নতুন করে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের দুটি শহরে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরী পরিষেবা বলছে, কিয়েভের রাজধানী থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে নদীতীরবর্তী শহর রিজিশেভ-এ একটি স্কুলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে, ছয়জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছে, এছাড়া অপর তিনজন এখনও নিখোঁজ হয়েছে। হামলায় দুটি ছাত্রাবাস এবং স্কুলের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দ্বিতীয় হামলার বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাপোরিঝিয়াতে দুটি সংলগ্ন উঁচু আবাসিক ভবনে জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার টুইট করেছেন, রাশিয়ার রাতভর ওই হামলার মধ্যে রয়েছে "২০টি ইরানী প্রাণঘাতী ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অসংখ্য গোলাবর্ষণের ঘটনা।"
ইউক্রেনের নেতা বলেন, তার বাহিনীর সাফল্য "শান্তিকে খুব কাছাকাছি নিয়ে আসছে।" পাশাপাশি তিনি রাশিয়াকে লক্ষ্য করে বৈশ্বিক ঐক্য এবং দেশটির নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি টুইট করেছেন, "এই মুহুর্তে, আবাসিক এলাকা যেখানে সাধারণ মানুষ এবং শিশুরা বাস করে সেখানে গুলি চালানো হচ্ছে।" তিনি বলেন, নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, জাপোরিঝিয়ায় একটি ভবন বিস্ফোরিত হচ্ছে, কারণ দিনের আলোতে ওই ভবনটিতে আঘাত হানা হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, "এটি ইউক্রেনে বা বিশ্বের অন্য কোথাও এমন 'আরেকটি দিন' হয়ে উঠতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, রাশিয়ার সন্ত্রাসকে দ্রুত পরাস্ত করতে এবং জীবন রক্ষার জন্য বিশ্বের বৃহত্তর ঐক্য ও সংকল্প প্রয়োজন।"
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আরও ভয়াবহ হতে পারত; ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা ইরানের তৈরি ২১টি শাহেদ আত্মঘাতী ড্রোনের মধ্যে ১৬টি ভূপাতিত করেছে।
জেলেনস্কি বুধবার ফ্রন্ট লাইনের কাছে সৈন্যদের পরিদর্শন করেছেন। তার অফিস সৈন্যদের হাতে মেডেল তুলে দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করে বলেছে, এই চিত্র পূর্ব শহর বাখমুতের কাছে ধারণ করা হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের বাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক পদাতিক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু উপাদান এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।