মেক্সিকোর একটি অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার (২৯ মার্চ) কেন্দ্রটির কর্মীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এল সালভাদর। দেশটি এ ঘটনার জোর তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
নজরদারি ভিডিওতে দেখা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর আশ্রয়কেন্দ্রের দুজন প্রহরী দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, একটি কক্ষের ভেতরে ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ার আগে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেননি ওই দুই প্রহরী।
এল সালভাদরের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এ দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করার উদ্দেশ্যে জোরালো তদন্তের দাবি জানাচ্ছে।
মেক্সিকোর সিউদাদ হুয়ারেজে অবস্থিত জাতীয় অভিবাসন সংস্থা পরিচালিত এই কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাশীদের রাখা হয়।
হতাহতরা গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরের বাসিন্দা। মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতি মতে, হতাহতদের মাঝে গুয়াতেমালার নাগরিক সবচেয়ে বেশি।
গুয়াতেমালার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও বুকারো জানান, মৃতদের মাঝে ২৮ জন তাঁর দেশের নাগরিক। হন্ডুরাসের এক কর্মকর্তা জানান, নিহতদের অন্তত ১৩ জন হন্ডুরাসের বাসিন্দা। তবে মৃতের সংখ্যার গড়মিল নিয়ে কেউ কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর দাবি করেন, যখন অভিবাসন প্রত্যাশীরা জানতে পারেন, তাদেরকে মেক্সিকো থেকে ফেরত পাঠানো হবে, তখন তারা প্রতিবাদ জানাতে কেন্দ্রের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেন।
লোপেজ ওবরাডর বলেন, “তারা আশ্রয়কেন্দ্রের দরজার সামনে তোষক বিছিয়ে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন। তারা কল্পনাও করেননি যে এতে এক ভয়াবহ ও দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে”। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে দেশটির অভিবাসন সংস্থার পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সিউদাদ ওয়ারেজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের মাঝে উত্তেজনা চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জানানোর জন্য অপেক্ষমাণ মানুষে পূর্ণ ছিল।
মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এ ঘটনার তদন্ত করছে।