জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি রবিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি বেইজিং একজন জাপানি নাগরিককে আটক করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়া, তাইওয়ানের কাছে ও জাপানের আশেপাশে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতা সম্পর্কে “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছেন।
হায়াশি দুদিনের চীন সফরে রয়েছেন। দুই দেশের বিরোধ বাড়ার পর, তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে তিনিই হলেন প্রথম জাপানি কূটনীতিক, যিনি চীন সফর করছেন। রবিবার দিনের শেষ দিকে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
হায়াশি বলেন, তিনি কিন-কে বলেছেন, তাদের দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এর জন্য অনেক সমস্যা এবং গুরুতর উদ্বেগও রয়েছে। আর, জাপান ও চীনের সম্পর্ক এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় পার করছে।
এই দুই এশীয় শক্তির মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, টোকিও এবং বেইজিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্ধিত মাত্রায় খারাপ সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে। কারণ, জাপান মনে করে, এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব তাদের নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্য হুমকি।
কিন কড়া ভাষায় বলেন, “তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের প্রধান স্বার্থের মূলে রয়েছে এবং এটি চীন-জাপান সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।”
জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না। তবে দ্বীপরাষ্ট্রটির সাথে তাদের শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। জাপান, তাইওয়ান প্রণালীতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং তাইপেতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।
এর আগে চীন সফর করা জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হায়াশির পূর্বসূরি তোশিমিতসু মোতেগি। চীন মহামারী নিয়ন্ত্রণে কঠোর সীমান্ত নীতি আরোপের ঠিক আগে, ২০১৯ সালে তিনি চীন সফর করেন।