অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ চীন সাগর বিতর্ক নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত মালয়েশিয়া


Iমালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্যা পিপলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম (বাঁয়ে), চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন।
Iমালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্যা পিপলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম (বাঁয়ে), চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সোমবার জানান, তার দেশ বেইজিং এর সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানা নিয়ে চলমান বিতর্ক নিরসনে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

চীন সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের মালিকানা দাবি করে। এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ ধরে বছরে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম; প্রত্যেকেই এই নৌপথের ওপর তাদের দাবি জানিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অবাধ চলাচলের অধিকার নিশ্চিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত এ পথে নৌযান পাঠায়।

২০১৬ সালের একটি আন্তর্জাতিক সালিশের রায়ে বলা হয়, বেইজিংয়ের এ দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। তবে চীন সালিশের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বেরনামার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আনোয়ার ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা পেট্রোনাসের সবচেয়ে বড় তেল অবকাঠামো এই অঞ্চলে অবস্থিত। এ ছাড়া বেশ কিছু তেল সন্ধান প্রকল্পও এই বিতর্কিত এলাকায় অবস্থিত। আনোয়ার এই অবকাঠামোগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে চান।

সোমবার আনোয়ার তার দপ্তরের প্রতি দেয়া বক্তব্যে জানান, তিনি চীন পক্ষকে বলেছেন, “তেল ও গ্যাস সম্পদের প্রয়োজন রয়েছে, এমন একটি ছোট দেশ হিসেবে আমাদেরকে (এসব প্রকল্প) অব্যাহত রাখতে হবে। তবে, বিষয়টা যদি এমন হয় যে, মালয়েশীয় প্রকল্পগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে দরকষাকষি দরকার, তবে আমরা তা করতে প্রস্তুত আছি”।

এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এপি ও এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG