অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানের দুটি প্রদেশে উপ-নির্বাচনের নির্দেশ আদালতের; ইমরান খানের রাজনৈতিক সুবিধা


পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ (ডানে) এবং আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার (বামে) পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন। ৪ এপ্রিল, ২০২৩।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ (ডানে) এবং আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার (বামে) পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন। ৪ এপ্রিল, ২০২৩।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছে, দুটি প্রদেশে উপ-নির্বাচন অবশ্যই ১৪ মে-তে অনুষ্ঠিত হতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা দিয়েছে যে, সরকার-সমর্থিত নির্বাচন কমিশনের দ্বারা ভোট বিলম্ব করা বেআইনি।

এই রায়টি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। তিনি এক বছর আগে সংসদীয় অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আগাম জাতীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দিয়ে আসছেন।

পাকিস্তানের সংবিধান জাতীয় বা প্রাদেশিক আইনসভাগুলো ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সময়সূচী দিতে কমিশনের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। কিন্তু তা পাঞ্জাবের নির্বাচনকে ৩০ এপ্রিল থেকে পরিবর্তন করে ৮ অক্টোবরে নিয়ে যায়। । অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কমিশন বলেছিল, সরকার অর্থায়ন এবং নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেছিল।

সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে যে শরীফ সরকারকে নির্বাচনের জন্য তহবিল প্রদান করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রায় ২৩ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে মাত্র চার সপ্তাহের আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে। দেশটিতে ভোক্তাদের মূল্যস্ফীতি ৩৫ শতাংশের বেশি, যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত নভেম্বর থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনার অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। সে সময় ইমরান খানের সরকার বিরোধী মিছিলের সময় তার গাড়িতে বন্দুকধারীরা গুলি করে; তিনি পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তিনি শরীফ এবং প্রশাসনের একাধিক সদস্যকে হত্যাচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করেন। সরকার অভিযোগগুলোকে ফালতু বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

XS
SM
MD
LG