অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নারী অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার তালিবানের স্বীকৃতির চাবিকাঠি: রাশিয়া


রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উজবেকিস্তানের সমরকন্দে কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠকে যোগ দেন, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩। (এপির মাধ্যমে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রেস সার্ভিস)
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উজবেকিস্তানের সমরকন্দে কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠকে যোগ দেন, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩। (এপির মাধ্যমে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রেস সার্ভিস)

রাশিয়া শুক্রবার বলেছে, আফগানিস্তানের তালিবান সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অগ্রগতি অর্জন করেছে ।তবে তাদের শাসনের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য নারী অধিকারের সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে হবে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উজবেকিস্তানে চীনসহ আফগানিস্তানের নিকটতম ছয় প্রতিবেশীর একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার একদিন পর এ মন্তব্য করেন।

উজবেকিস্তানের সমরকন্দ শহরে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন,"সবাই সর্বসম্মতিক্রমে একমত হয়েছে, আমরা তালিবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব। তা দেশটির উপর কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।”

তিনি মৌলবাদী তালিবান কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দেন, তারা ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট সৈন্য প্রত্যাহারের পরে কাবুলে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে "স্বেচ্ছায়" অঙ্গীকার করেছিল। ল্যাভরভ তালিবানকে জনজীবনে নারীর অধিকার এবং মেয়েদের শিক্ষার সমস্যা সমাধানের জন্যও চাপ দেন।

বর্তমান আফগান সরকারে তাজিক এবং উজবেক জাতিগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তালিবানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার প্রধান কূটনীতিক । তিনি বলেন, “তালিবানই সরকারের একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি এবং এসব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তালিবানেরই অংশ।“

তিনি আরও বলেন, “আমরা সবাই সর্বসম্মতিক্রমে তালিবানের কাছে এই সব বিষয় সমাধানের আবেদন জানাচ্ছি। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টির দিকে নজর রাখছে।”

শুক্রবার তালিবানের এক মুখপাত্র অন্তর্ভুক্তিমূলক আফগান সরকারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।

তালিবানের উপ মুখপাত্র বিলাল কারিমি টুইটারে লিখেছেন , “আফগানিস্তান সৎ, আন্তরিক এবং সত্যিকারের আফগানদের দ্বারা পরিচালিত হয়। চিন্তাধারা ইসলামী এবং দেশ সম্পূর্ণ স্বাধীন। 'আল্লাহর ইচ্ছায় এখানে অন্তর্ভুক্তির অজুহাতে কোনো বিদেশি গুপ্তচর থাকবে না, কাউকে দাবার ঘুটি হতে দেওয়া হবে না”।

বৃহস্পতিবার সমরকন্দে জাতিসংঘের এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন তালিবান বিশ্ব সংস্থায় নারী কর্মীদের কাজ করতে নিষেধ করে। এরপরই সংঘাত-বিধ্বস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে জাতিসংঘের উপস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কড়া আন্তর্জাতিক দাবি জানানো হচ্ছে যাতে অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

জাতিসংঘ এক সপ্তাহ আগে তাদের শত শত নারী কর্মীর ওপর অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে এটি সংস্থাটিকে আফগানিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য করতে পারে।

XS
SM
MD
LG