ইরান সোমবার বলেছে, গত মাসে দুই পক্ষের মধ্যে একটি আপোষ চুক্তির পর দেশটি সৌদি বাদশাহ সালমানকে তেহরান সফরের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর,এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় তেহরানে সৌদি দূতাবাস এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে কনস্যুলেট ভবনে হামলা হয়। এর পর সৌদি আরব ২০১৬ সালে ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি সোমবার বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি “সৌদি বাদশাহকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”
মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইরান এবং সৌদি আরব, চীনের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত চুক্তি অনুয়ায়ী, নির্ধারিত ৯ মে-এর মধ্যে তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করবে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দুই দেশের প্রতিনিধিদল রিয়াদ এবং তেহরানের দূতাবাস এবং জেদ্দা ও মাশহাদে তাদের কনস্যুলেটগুলো আবার খোলার প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্যে সেগুলো পরিদর্শন করেছে।
গত ৬ এপ্রিল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বেইজিং-এ তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
সম্পর্ক পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত মার্চ-চুক্তির আগে, শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান এবং সুন্নি মুসলিম শাসিত সৌদি আরব ইয়েমেনসহ ঐ অঞ্চলের সংঘাতসংকুল এলাকাগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোকে সমর্থন যুগিয়ে আসছিলো।
রিয়াদ একটি সামরিক জোটের নেতৃত্ব দেয়। এই জোট সৌদি আরবে অবস্থানরত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছিলো। অন্যদিকে , তেহরান রাজধানী সানা এবং উত্তরের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন করছিল।