অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘে হাইতির প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন


হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে রাজধানীর বেশিরভাগ মেট্রোপলিটন এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে বাসিন্দারা বিক্ষোভ করার সময় ট্রাকগুলো রাস্তা অবরোধ করে। ২৫ এপ্রিল, ২০২৩।
হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে রাজধানীর বেশিরভাগ মেট্রোপলিটন এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে বাসিন্দারা বিক্ষোভ করার সময় ট্রাকগুলো রাস্তা অবরোধ করে। ২৫ এপ্রিল, ২০২৩।

বুধবার হাইতির প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার সরকারের আবেদন জোরদার করেছেন যে, তারা যাতে দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানী এবং বৃহত্তর অঞ্চলে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখা সশস্ত্র অপরাধী চক্রের খপ্পর ভাঙতে সহায়তা করে।

হাইতিতে কমপক্ষে সাতটি বড় গ্যাং জোট এবং সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০০টি গ্রুপ আছে। দেশটির পুলিশ বাহিনী দুর্বল এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত নয়। জাতিসংঘ বলেছে, প্রতি ১ হাজার হাইতিয়াবাসীর জন্য ১ দশমিক ২ জন পুলিশ রয়েছে।

বছরের শুরু থেকে অপরাধীচক্রের সদস্যরা কমপক্ষে ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। এছাড়া ৮০০টির বেশি নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এগুলোর বেশিরভাগই জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের শেষের মধ্যে রাজধানীতে সংঘটিত হয়েছে।

জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য এবং অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয় বলছে, হাইতিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বন্দুক এবং গোলাবারুদ পাচারের কারণে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপে কলম্বিয়ান কোকেন এবং জ্যামাইকান গাজা প্রেরণের আঁতুড়ঘর।

গত মাসে একটি প্রতিবেদনে ইউএনওডিসি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশেষ করে ফ্লোরিডা রাজ্য হাইতিতে স্থল, আকাশ এবং প্রায়শই সমুদ্রপথে আসা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের প্রধান উৎস। নেটওয়ার্কগুলো যুক্তরাষ্ট্রের শিথিল বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন এবং বন্দুক ক্রয়বিক্রয়ের স্বল্প বিধিনিষেধের সুবিধা নিয়ে সেখান থেকে বন্দুক সংগ্রহ করে এবং ফ্লোরিডা হয়ে হাইতিতে তা পাচার করে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল; যেমন, একে ফর্টি সেভেন এস, এআর ফিফটিন এস এবং গ্যালিলস।

গত অক্টোবরে নিরাপত্তা পরিষদ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ হাইতির গ্যাংগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।


XS
SM
MD
LG