বেইজিং-এর সমালোচনাকারী কানাডিয়ান আইনপ্রণেতাকে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টার অভিযোগে একজন চীনা কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি একটি বিবৃতি জারি করেছেন যে, কানাডার দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল সংবাদপত্রের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ঝাও ওয়েইকে “পার্সোনা নন গ্রাটা” ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝো কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা মাইকেল চং সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলেন। চং উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের আচরণকে গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করার একটি প্রস্তাব স্পন্সর করেছিলেন।
বেইজিং-এ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক মঙ্গলবার ভোরে ঘোষণা করেছে, তারা সাংহাইতে কানাডিয়ান কনস্যুলেটের কনসাল জেনিফার লিন লালনদেকে “পার্সোনা নন গ্রাটা” ঘোষণা করেছে এবং তাকে ১৩ মে-এর মধ্যে চীন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অটোয়াতে চীনের দূতাবাস ঝুকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় চীন “সংকল্পবদ্ধ পালটা ব্যবস্থা নেবে” বলার কয়েক ঘণ্টা পর লালনদেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২০১৮ এবং ২০২১ সালের কানাডিয়ান সাধারণ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য চীনের কথিত প্রচেষ্টার বিষয়ে দ্য গ্লোব এবং মেইল ও অন্যান্য নিউজ আউটলেটগুলোর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মধ্যে ঝু সম্পর্কে অভিযোগগুলো এসেছে। দুটি প্রতিবেদনই কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
চীন ঐ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঝু-র বহিষ্কার সম্ভবত বেইজিং এবং অটোয়ার মধ্যে ইতোমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। ২০১৮ সালে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলোজিসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা, হুয়াওয়ে এক্সিকিউটিভ মেং ওয়ানঝোকে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে গ্রেপ্তার করার সময় সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর আপাত প্রতিশোধ হিসেবে চীনে দুজন কানাডিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।