বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সুদানে প্রায় এক মাস ধরে চলা নৃশংস লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদানের সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে লড়াইয়ে আরও পাঁচ হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।
এই দুই জেনারেল সাবেক মিত্র, যারা ২০২১ সালের অক্টোবরে একত্রে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের নেতা ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বেসামরিক শাসনের দিকে রূপান্তর আটকে দেয় তারা।
আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীতে কীভাবে একীভূত করা উচিত এবং কে এই প্রক্রিয়াটি তদারকি করবে তা নিয়ে মতবিরোধে জেনারেলদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সহিংস সংঘাতের অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
খার্তুম ও সুদানের অন্যান্য শহরে খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য একটি চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে, সৌদি আরবের জেদ্দায় দুই পক্ষের রাষ্ট্রদূতরা বেশ কয়েক দিন ধরে বৈঠক করছেন।
সৌদি আরব ইতিমধ্যে সুদানকে ১০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত মাসে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে সাত লাখেরও বেশি সুদানী তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এ এফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।