থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। লাখ লাখ মানুষ দেশটির সরকারের নেতৃত্ব কাকে দেবেন তা নিয়ে ভোট দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডে ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা বেসামরিক নেতা হিসাবে এর আগে নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও ফলাফলের পর নেতা হিসাবে তার এটাই শেষ সময় হতে পারে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ভোট দিতে সক্ষম ছিলেন। ব্যাংককের জনগণ প্রচণ্ড গরমের সাথে লড়াই করেছে। এর মধ্যেই দেশের রাজধানী জুড়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
স্কুল, মন্দির এবং আকাশচুম্বী ভবনগুলোতে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র ছিল। ভোটাররা দুটি ব্যালটের জন্য ভোট দেওয়ার আগে তাদের পরিচয়পত্র দেখান । ভোট গণনার সময় তাদের বেশ উৎফুল্ল অবস্থায় দেখা যায়।
থাই বাসিন্দারা কেন ভোট দিয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা তাদের কথা তুলে ধরেন ভিওএ এর কাছে।
৪১ বছর বয়সী সিরা, সোই সুখুমভিতের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন। তিনি ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সরকারের সিদ্ধান্তের উপর আরও নজর রাখার জন্য ছিল বলে জানান।
২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রয়ুথ থাইল্যান্ডের নেতা ছিলেন এবং তাকে রাজতন্ত্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, থাইল্যান্ডের ২০১৭ সালের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রধানমন্ত্রী পরপর দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, অর্থাৎ আট বছর এবং প্রয়ুথ ক্ষমতায় থাকলে তা ২০২৫ সালেই শেষ হয়ে যাবে।
ব্যাংককের একটি পুরাতন এলাকা ব্যাং রাকে বসবাসকারী ৩৭ বছর বয়সী ফন বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য আমরা থাইল্যান্ডে পরিবর্তন দেখতে চাই। আমরা চাই উন্নত অর্থনীতি ও শিক্ষা।
২০২০ সাল থেকে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে তরুণদের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দমন-পীড়নের ফলে শত শত লোকের বিরুদ্ধে দেশটির লেস ম্যাজেস্টে আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়। এই আইনে থাই রাজতন্ত্রের সমালোচনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।।