অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারত-চীন সামরিক অচলাবস্থা চতুর্থ বছরে প্রবেশ করেছে


ফাইল - ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের বুমলায় ভারত-চীন সীমান্তের ভারতীয় দিক থেকে একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। ( ১১ নভেম্বর, ২০০৯)
ফাইল - ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের বুমলায় ভারত-চীন সীমান্তের ভারতীয় দিক থেকে একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। ( ১১ নভেম্বর, ২০০৯)

ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক অচলাবস্থা চতুর্থ বছরে পড়েছে। তবে তাদের সিনিয়র মন্ত্রী এবং সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আলোচনা সত্ত্বেও, বিরোধ সমাধানের কোনও লক্ষণ নেই যা সম্পর্ককে ছয় দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, একটি নতুন ফ্ল্যাশপয়েন্টের আবির্ভাবের সাথে কারণে তাদের ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত সীমানায় অস্থিরতা আরও বড় হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে উভয় পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই অঞ্চলটি পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলের লাদাখ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০২০ সালে সেখানে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের ফলে বর্তমান অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল।

গত মাসে চীন অরুণাচল প্রদেশের ১১টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তা দক্ষিণ তিব্বত বলে উল্লেখ করেছে। ছয় বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো তারা এই অঞ্চলের পাহাড়, নদী এবং অন্যান্য পয়েন্টের নতুন নাম প্রকাশ করেছে।

ভারত এই পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করলেও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, জানগ্রাম (অরুণাচল প্রদেশ) চীনের অংশ এবং এই অঞ্চলের স্থানগুলির নামকরণ "সম্পূর্ণভাবে চীনের সার্বভৌমত্বের আওতাধীন ছিল।“

এটি এমন একটি কৌশল যা চীন এশিয়ার অন্যান্য অংশে বিতর্কিত অঞ্চলগুলির উপর তার দাবি জোরদার করার জন্য ব্যবহার করেছে। তারা দক্ষিণ চীন সাগর এবং পূর্ব চীন সাগরের অবস্থানগুলির নামও পরিবর্তন করেছে।

নয়াদিল্লিতে বিশ্লেষকরা এটিকে বেইজিংয়ের ভারতকে বাধ্য করার আরেকটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছেন।

চীন যে দ্রুত গতিতে তার সীমান্ত এলাকায় সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে নয়া দিল্লি ঐ রাজ্যে সুড়ঙ্গ, সড়ক ও সেতু নির্মাণ করছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত মাসে অরুণাচল প্রদেশ সফরকালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় তিন হাজার সীমান্তবর্তী গ্রামের উন্নয়নে ৫৭ কোটি ডলারের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অভিযোগ করেছেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করে বেইজিং সম্পর্কের পুরো ভিত্তি নষ্ট করছে । সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্কের কোনো উন্নতি হতে পারে না। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি শাংফু ভারতকে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এবং “যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার” আহ্বান জানিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG