ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশগুলোর জোট জি-সেভেনের (জি-৭) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পৌঁছানোর পর, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-সহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাতভর রুশ বিমান হামলা চালানো হয়।
জাপানের হিরোশিমা শহরে পৌঁছানোর পর পর, এক টুইটার পোস্টে জেলেন্সকি লিখেছেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের অর্থ হলো “আমাদের বিজয়ের জন্য নিরাপত্তা ও বাড়তি সহযোগিতা”। তিনি আরো বলেন, “এখন শান্তি আরো নিকটবর্তী হচ্ছে।”
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাতে রাজধানীতে ১৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
একটি আবাসিক ভবনের উপরে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আগুন লেগেছে, তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিয়েভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রুশ অধিকৃত আজভ সাগরের বন্দর নগরী মারিউপোলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শহরের বিমানবন্দরে এই বিস্ফোরণ আঘাত হানে।
রাশিয়ার শহরটি দখলের প্রথম বার্ষিকীতে মারিউপোলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস ধরে চলা তীব্র লড়াইয়ের পর এই শহর দখল করে রুশ বাহিনী। এই লড়াইয়ে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ রাশিয়া একটি থিয়েটারে বোমা বর্ষণ করে। সেখানে শত শত বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিলো। তাদের অধিকাংশই ছিলো নারী ও শিশু। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ঐ ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৩০০ জন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে এবং সামরিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানাতে, হিরোশিমায় জেলেন্সকি রবিবার জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।