যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এবং রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর আইন প্রণেতাদের মধ্যে সরকারের ঋণের সীমা নিয়ে আলোচনা বুধবার আবার শুরু হবে।
উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা কোনো আপাত অগ্রগতি ছাড়াই মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে যায়। চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রককে বর্তমান ৩১ ট্রিলিয়ন সিলিং অতিক্রম করার অনুমতি দেবে এবং সরকারের বকেয়া ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থ ধার করা চালিয়ে যাবে। অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সতর্ক করেছেন যে, বিভাগটির বৃহস্পতিবার ১ জুনের মধ্যে অর্থ শেষ হয়ে যাবে। এটি সরকারকে তার ঋণের খেলাপি হতে বাধ্য করতে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র একটি বিপর্যয়কর মন্দার মধ্যে নিমজ্জিত হতে পারে এবং বিশ্ববাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।
হাউজ রিপাবলিকানরা দাবি করছে, বাইডেন প্রশাসন ফেডারেল ব্যয়কে ২০২২ সালের স্তরে ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে। রিপাবলিকানরা খাদ্য ও নগদ সহায়তা এবং চিকিৎসা স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচির মতো নিম্ন আয়ের ত্রাণ কর্মসূচিতে নথিভুক্ত আমেরিকানদের জন্য কঠোর কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা আরোপ করতে চায়।
হোয়াইট হাউজ এই বছরের বর্তমান স্তরে ফেডারেল ব্যয় আটকে রাখার প্রস্তাব করেছে এবং ধনী আমেরিকান এবং কিছু কর্পোরেশনের জন্য কর হ্রাস বন্ধ করতে চায়। প্রশাসনও প্রস্তাব করেছে, প্রতিরক্ষা ব্যয় যেকোনো সম্ভাব্য ব্যয় হ্রাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি উভয়ই প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে সংবাদ আউটলেটগুলো বলছে, একটি সম্ভাব্য চুক্তিতে ব্যয় না হওয়া কোভিড ১৯ মহামারী ত্রাণ তহবিলের ৩ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত ফেরত নেয়া এবং নতুন জ্বালানী প্রকল্পগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সংস্কার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।