অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না—পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন


 ফাইল ছবি-সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন
ফাইল ছবি-সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষিত ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান এবং এই নীতি তাঁর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব দল সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চাই না। আমি আশা করি এই কাজগুলো কমবে”।

এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা কোনো বাড়তি চাপের মধ্যে নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চমৎকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান এবং এই নীতি তাঁর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

আওয়ামী লীগ সবসময় ভোটারদের বিশ্বাস করে উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাছ থেকে আসা বিষয়টিকে তারা খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছেন। চিঠিটি উদ্ধৃত করে আব্দুল মোমেন বলেন, এই নীতি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রতিশ্রুতি সমর্থন করে।

আব্দুল মোমেন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন, যা ভোটারদের পাশাপাশি পোলিং কর্মকর্তা এবং এজেন্টদের মধ্যে আস্থা স্থাপনের আদর্শ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, দেশে একটি শক্তিশালী জাতীয় নির্বাচন কমিশন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের ঘোষণা—বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে ভিসা নীতির ঘোষণা দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “আজ, আমি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করা্র উদ্দেশ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘৩সি’) ধারার অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মে মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে”।

তিনি আরও বলেছেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কর্মের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার ব্যবহার, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার থেকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যেকোনো রকম ব্যবস্থার ব্যবহার”।

ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলের- ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যারা চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি”।

XS
SM
MD
LG