অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইমরান খানের বাসভবন, জেনারেলরা ক্ষুব্ধ ও মেরুকৃত পাকিস্তান


পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

লাহোর শহরের অভিজাত, গাছপালায় ঢাকা জামান পার্কের পাড়াটা এখন আর তেমন শান্ত নয়। এর মধ্যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িটি একটি রাজনৈতিক দুর্গে পরিণত হয়েছে যেখান থেকে তিনি বর্তমানে সরকার এবং দেশের শক্তিশালী সামরিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে লড়াই করছেন।

১৯৯২ সালে খান যখন ক্রিকেটে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখন হাজার হাজার ভক্ত বাড়িটি ঘিরে ফেলেছিল। খান যখন জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাকে পাকিস্তানে নিয়ে এসেছিলেন তখনও এই বাসভবন পাদপ্রদীপের আলোয় ছিল ; বিবাহবিচ্ছেদের আগে দুজনেই এখানে কয়েক বছর একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন।

খান দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অভিযান চালিয়েছিলেন, একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন এবং তারপরে তিনি একটি রাজনৈতিক দল চালু করার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের ভিড় আরও বাড়তে দেখেছিল এই বাড়ি। ক্রিকেট তারকা থেকে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ হয় এখানেই।

আর এখন নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের চেষ্টা, কয়েক ডজন পুলিশের তৈরি করা বাড়ির চারপাশে বেষ্টনী, সামনে যাওয়ার সমস্ত রাস্তায় অবরোধ এবং লাইভ ক্যামেরা সহ মিডিয়া ভ্যানগুলি ২৪/৭ মোতায়েন রয়েছে নাটকীয় মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দি করার প্রত্যাশায় কারণ খান পুনরায় গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন৷

দুর্নীতির অভিযোগে ৯ মে ইসলামাবাদে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আধা-সামরিক বাহিনী কর্তৃক নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হন তিনি, কিন্তু আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার গ্রেপ্তার ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটায় এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে লাহোরে একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারের বাসভবনে লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থনে সমর্থকরা পাকিস্তানের করাচিতে বিক্ষোভ করে একটি রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। ৯ মে, ২০২৩। ফাইল ছবি।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থনে সমর্থকরা পাকিস্তানের করাচিতে বিক্ষোভ করে একটি রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। ৯ মে, ২০২৩। ফাইল ছবি।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির সামরিক প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক হামলাকে ‘অসহনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

ক্ষুব্ধ সামরিক বাহিনী এবং ইমরান খানের প্রতি বিদ্বেষী জোট সরকার ঘোষণা করেছিল যে হামলায় অভিযুক্তদের সামরিক আদালতে বিচার করা হবে। সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক নিন্দার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।

একজন শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানি সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাজহার আব্বাস বলেছেন, "সামরিক জেনারেলরা ক্ষুব্ধ এবং খান তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধে লড়ছেন।"

গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর খান জনবাদী ঢেউয়ের মুখে পড়েন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার বিবাদ গভীর হওয়ার পাশাপাশি তার প্রতিবাদ বিপুল জনতাকে আকর্ষণ করেছিল। সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য প্রথম স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন তিনি তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার আইএসআই প্রধান জেনারেল ফয়েজকে বদলি করার এবং অন্য কাউকে ঐ গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেন।

খান এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন এবং বলেছিলেন যে নতুন আইএসআই প্রধান নিয়োগ করা তার বিবেচনার বিষয়। কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান। পাকিস্তানের বিচিত্র রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেননি।

একজন বিক্রেতা পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের পতাকা বিক্রি করছেন।
একজন বিক্রেতা পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের পতাকা বিক্রি করছেন।

ইমরান খানের ক্ষমতায় উত্থানকে ২০১৮ সালে সামরিক বাহিনী দ্বারা "ইঞ্জিনিয়ারড" হিসাবে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়েছিল এবং প্রতিষ্ঠান ও খানের নেতৃত্বাধীন শাসনের অভূতপূর্ব জোটবদ্ধতা ও বোঝাপড়ার কথা উল্লেখ করে এই "এক পৃষ্ঠা" মন্ত্রটি রাজনৈতিক বলয়ে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল ; কিন্তু ক্ষমতার বাইরে গিয়েই, খান তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার সোচ্চার সমালোচক হয়ে ওঠেন এবং তার সরকারকে পতনের ষড়যন্ত্রের জন্য তাকে অভিযুক্ত করেন, যে অভিযোগটি সামরিক বাহিনী অস্বীকার করে।

খান এরপর আইএসআই-এর একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গত বছরের নভেম্বরে তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন ; তাদের "ডার্টি হ্যারি" এবং "মি. X” নামে অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে উপ-নির্বাচনে কারচুপির পরিকল্পনার অভিযোগ আনেন।

সর্বশেষ পর্বে, খান সরাসরি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরকে তার গ্রেফতারির জন্য অভিযুক্ত করেন ; এই অভিযোগটি সামরিক বাহিনী দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। “সেনারাই আমাকে অপহরণ করেছিল। সেনাপ্রধানের অনুমতি ছাড়া কিছুই হয় না। তিনি অপহরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন,” মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে আবেগতাড়িত খানকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলা হয়।

এই ধরনের অভিযোগের পাশাপাশি তার সমর্থকদের দ্বারা সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে কথিত হামলার প্রেক্ষিতে, খান এখন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে।

“ইমরান খান একে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিবাদ হিসাবে চিত্রিত করে বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ চাল,” বলেছেন সুজা নওয়াজ। তিনি লেখক, ওয়াশিংটন-ভিত্তিক চিন্তক গোষ্ঠী আটলান্টিক কাউন্সিলের একজন বিশিষ্ট ফেলো।

"খান হয়তো তাড়াহুড়ো করে তার (জেনারেল মুনীর) শক্তির হিসেবে ভুল করেছেন এবং সেনাবাহিনীতে খানপন্থী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সুবিধা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।"

“সেনাপ্রধান অভ্যন্তরীণ ফাটলকে জনগণের নজরে আসতে দেননি। উদাহরণ স্বরূপ, লাহোর কোর কমান্ডারের (যার বাড়ি বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে) কী হয়েছিল তা কেউ জানে না,” যুক্তি দেন সুজা নওয়াজ।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ ঢোকার মুখে নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত দেখা যাচ্ছে। ১২ মে, ২০২৩।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ ঢোকার মুখে নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত দেখা যাচ্ছে। ১২ মে, ২০২৩।

এখন ইমরান খান দুর্নীতি থেকে সন্ত্রাসবাদ হয়ে ধর্ম-অবমাননা পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি, যেগুলিকে তিনি বলেছেন "রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত"। তিনি দাবি করেন যে, তার ১০,০০০ কর্মী ও সমর্থক কারাগারে রয়েছে এবং তার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং দলের নেতারা দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই দলত্যাগকে তিনি "জবরদস্তি"র চাপে ও "বলপূর্বক বিবাহবিচ্ছেদ" বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, সরকার ৯ মে সহিংসতার জন্য খানের দল পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

বিশ্লেষক আব্বাস বলেছেন, "খানের দলের বিরুদ্ধে ফাটলের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের পরিত্যাগ, দলত্যাগ বা নিষিদ্ধ করা পাকিস্তানের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে একটি পুরানো চিত্রনাট্যে নতুন চলচ্চিত্রের মতো।"

“আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক শাসন, এমনকি নির্বাচিত সরকারের সময়েও একই ধরনের কৌশল দেখেছি। তাদের প্রভাব স্বল্পমেয়াদি ছিল কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে উল্টো ফল হয়েছে।"

খান দলের মর্যাদা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে তার সমর্থন কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক চিন্তক গোষ্ঠী ইউএসআইপি-এর সিনিয়র বিশেষজ্ঞ আসফান্দিয়ার মীর বলেছেন, "সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে খানের সমর্থকদের আক্রমণের কারণে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিব্রতকর এবং নিজেদের মর্যাদা-ভঙ্গের গভীর অনুভূতি রয়েছে।"

খান বলেছেন যে তার দলের কর্মীরা সহিংস হামলায় জড়িত ছিল এমন অভিযোগগুলি 'সংগঠিত প্রচার' ; তার দলকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। এরপর তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার কোনো মতপার্থক্য নেই। তিনি দাবি করেন, "পিডিএম (তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন জোট) সামরিক বাহিনী এবং আমার মধ্যে একটি বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে,"

আসফান্দিয়ার মীর বলেন, “ইমরান খান এখন ক্রমশেই পিছিয়ে যাচ্ছেন… যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, জনপ্রিয়তার কারণে খানের সুবিধা রয়েছে এবং তার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফাটল ধরেছে। আগামীতে, সেনাদের অভিজাত নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে খানের সমর্থন গুরুত্ব হারাতে পারে বা এমনকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।"

আসফান্দিয়ার মীর যুক্তি দেন, "সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, সেনাবাহিনী কি সম্পূর্ণরূপে জনসমর্থন পুনরুদ্ধার করতে পারে যা ঐতিহ্যগতভাবে তাদের ছিল, কিন্তু গত বছর খানের রাজনৈতিক আক্রমণের কারণে হারিয়েছে।"

দেশের রাজনৈতিক উত্থানের ইতিহাস সত্ত্বেও বর্তমান রাজনৈতিক মেরুকরণ নজিরবিহীন। খান ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে শিং ঠেকিয়ে রয়েছেন, তাদের 'পুতুল' বলেছেন এবং এর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে অস্বীকার করেছেন। তার মতে, বিচার বিভাগই দেশের একমাত্র প্রশংসনীয় প্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে, শরীফের পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকার সমালোচনা করে, তাকে অভিযুক্ত করে যে, খানের প্রতি তার "নরম মনোভাব " রয়েছে এবং একটি বহুল বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে সরকারের মন্ত্রীরা তার ক্ষমতা হ্রাস করার হুমকি দিয়েছেন।

এই ধরনের মেরুকরণ মধ্যস্থতার সম্ভাবনাকে বাধা দেয়। অতীতে এমনটা ছিল না। তখন প্রধান বিচারপতি, সেনাপ্রধান, বা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হস্তক্ষেপ করেছিলেন এবং সমঝোতা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পুলিশ এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল। ১১ মে, ২০২৩।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পুলিশ এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল। ১১ মে, ২০২৩।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতির আরও অবনতি ঘটাচ্ছে। সঙ্কুচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ক্রমবর্ধমান ঋণ, ডলারে পাকিস্তানি রুপির রেকর্ড অবমূল্যায়ন, ক্রমবর্ধমান সুদের হার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির হারের ঘূর্ণিতে দেশটি খেলাপির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে লড়াই করছে।

রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে এই ধরনের ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্ষমতাসীন জোটের সমর্থনের ভিত্তিকে দ্রুত ধ্বংস করছে। সরকার সম্ভবত খানকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে সামরিক সংস্থার সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।

আর ইমরান খান এটাকে ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, তার একক দাবি হল আগাম নির্বাচন, তা নইলে চলতি বছরের অক্টোবরে তা হবার কথা। । খান দাবি করেন, “...আমাদের দলের জনপ্রিয়তার কারণে তারা ভীতসন্ত্রস্ত। আমরা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হবো। এজন্য তারা নির্বাচন করতে চায় না।”

প্রশ্ন হল, খান দ্রুত ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবেন কী না।

বিশ্লেষক সুজা নওয়াজ বলেন, "একটা খাপে দুটো তলোয়ার থাকতে পারে না। ইমরান খানের সঙ্গে (সেনাপ্রধান) জেনারেল আসীম মুনীরের দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম খাটে।"

বিশৃঙ্খলা যখন ২২ কোটি জনঅধ্যূষিত জাতিকে তাড়িত করে চলেছে তখন তার লাহোরের বাড়িতে ফিরে, আদালতের মামলায় জর্জরিত খান তার প্রতিদিনের পডকাস্ট এবং সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত হন ; পুনরায় গ্রেফতারি এবং এমনকি নিজের জীবন নিয়ে ভয় প্রকাশ করেন।

এই সংবাদধর্মী নিবেদনটি লিখেছেন- ওয়ায়েজ তৌহিদ

XS
SM
MD
LG