সোমবার সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে বেইজিং-এর নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমেরিকার একটি ডেস্ট্রয়ারের কাছ দিয়ে তীব্রভাবে কেটে গেছে, যা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজটি গতি কমাতে বাধ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্র এটিকে তাইওয়ান প্রণালীতে একটি “অনিরাপদ” চীনা কৌশল বলে অভিহিত করেছে।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের মতে, শনিবারের ঘটনার সময় একটি চীনা গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার তার বন্দরের পাশে ইউএসএস চুং-হুনকে ছাড়িয়ে যায়, তারপরে প্রায় ১৩৭ মিটার (১৫০ গজ) দূরত্বে ডানদিকে ঘুরে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একথা জানায়। ভিডিওতে দেখা যায়, আমেরিকান ডেস্ট্রয়ারটি তার গতিপথ ধরে রেখেছিল। তবে সামরিক বাহিনী বলেছে, “সংঘর্ষ এড়াতে” এর গতি কমিয়ে ১০ নট করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজের কাছ দিয়ে যাবার পর চীনের জাহাজটি আবার সমান্তরাল দিকে যাত্রা করে।
চীনা জাহাজ কানাডিয়ান ফ্রিগেটে অনুরূপ কৌশলের চেষ্টা করেনি। ঐ জাহাজটি আমেরিকান ডেস্ট্রয়ারের পেছনে ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু উভয়েই সিঙ্গাপুরে একটি বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার দিনে ঘটনাটি ঘটে।
রবিবার লি তার দেশের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন “নেভিগেশন টহলের স্বাধীনতা”য় মিত্র পশ্চিমা জাহাজের চলাচল চীনের জন্য একটি উস্কানি ছিল।
চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে। যুক্তরাষ্ট্র “এক চীন” নীতিকে স্বীকৃতি দেয় এবং বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে, তবে ওয়াশিংটন তাইপেইতে অস্ত্র বিক্রি করা জারি রেখেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি থেকে নেয়া হয়েছে।