অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে আইএস-কে নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে


কাবুলের শাহর-ই-নাউ পাড়ায় হোটেল বিল্ডিং-এর একটি দৃশ্য। এখানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান আক্রমণ চালিয়েছিল। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
কাবুলের শাহর-ই-নাউ পাড়ায় হোটেল বিল্ডিং-এর একটি দৃশ্য। এখানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান আক্রমণ চালিয়েছিল। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন আঞ্চলিক সহযোগী নেতা এই সপ্তাহে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উভয় দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ভয়েস অফ আমেরিকাকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএস-কে এর তথাকথিত নিহত আমির সানাউল্লাহ গাফারি ২০২০ সালের জুন থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তিনি শাহাব আল-মুজাহির নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তার বয়স ৩০-এর শেষের দিকে।

আঞ্চলিক সন্ত্রাসী প্রধানের হত্যার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভয়েস অফ আমেরিকার আফগানিস্তানে তালিবান মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করেছে কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাসিন্দা গাফারি শহরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন।

এই আইএস-কে নেতার পরিচয় বা অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ডলার পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।

গাফারির মৃত্যুর খবরের সাথে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারেনি যে, ওই সন্ত্রাসী নেতাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা।

তবে ওই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা চালানোর খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আইএস-কে নেতা গত বছর কাবুলে ইসলামাবাদের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত উবায়দ-উর-রহমান নিজামনির ওপর ব্যর্থ হত্যা প্রচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন।

আইএস-কে ডিসেম্বরে বন্দুক হামলার দায় শিকার করেছিল। ওই হামলায় একজন পাকিস্তানি দেহরক্ষী আহত হয়েছিল। হামলায় নিজামনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ২০২২ সালের মার্চে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে একটি শিয়া মুসলিম মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে। ওই হামলায় ৬০ জনের বেশি মুসল্লি নিহত হন।

জেফ সেল্ডিন এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

XS
SM
MD
LG