মঙ্গলবার পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর-পূর্ব আরব সাগর দিয়ে আসা একটি “তীব্র ঘূর্ণিঝড়” এর পথ থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরানোর জন্য “সতর্কতাস্বরূপ সরিয়ে নেয়া” চলছে।
বিপর্যয় নামের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়টি বন্দর শহর করাচি থেকে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ঠাট্টা জেলার ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে আছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তুর জানিয়েছে, বিপর্যয় ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার বেগে এবং ঘণ্টা প্রতি ১৭০ কিলোমিটার দমকা বাতাসের সাথে সর্বোচ্চ ৯ মিটারের বেশি ঢেউয়ের উচ্চতা নিয়ে আসছিল ।
জাতিসংঘ বলেছে, সর্বসাম্প্রতিক পূর্বাভাষ বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার করাচি এবং প্রতিবেশী ভারতের গুজরাট উপকূলরেখার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
রেহমান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে অস্থায়ী আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হবে।
সিন্ধুর রাজধানী করাচি। সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে যে, একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানান্তর করা শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়া পর্যন্ত জেলেদেরকে খোলা সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে- ঘূর্ণিঝড় সম্ভবত ১৭ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
ভারত কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। মুম্বাইতে সমুদ্রে যাওয়ার পরে চারটি ছেলে ডুবে গেছে।