প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে আসিয়ান-এর যৌথ সামরিক মহড়া পরিকল্পনায় একটি কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করলো কম্বোডিয়া। এই আঞ্চলিক জোট ও বেইজিং-এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায়, এটি হলো প্রধানমন্ত্রী হুন সেন-এর সর্বসাম্প্রতিক পরীক্ষামূলক উদ্যোগ।
ইন্দোনেশিয়ার সামরিক কমান্ডার অ্যাডমিরাল ইউডো মারগোনো বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন, তার আঞ্চলিক সহ-পক্ষগুলো সেপ্টেম্বরে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সম্মত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মাগোর্নো বলেছেন, মহড়াগুলো “আসিয়ান কেন্দ্রিকতা” জোরদার করার ওপর আলোকপাত করবে। তবে, ইন্দোনেশিয়ার একজন সামরিক মুখপাত্র এই উদ্যোগকে “এশিয়ার, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিপর্যয়ের উচ্চ ঝুঁকি” বলে উল্লেখ করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার মতে, প্রস্তাবিত সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ-অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জেনারেল চুম সোচেত শুক্রবার ভয়েস অফ আমেরিকার খেমার সার্ভিসকে বলেন, সেনাবাহিনী এখনো, তার ভাষায় “ইন্দোনেশিয়ার অনুরোধের” প্রতি, তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেনি। তিনি দাবি করেন যে আসিয়ানের নয় সদস্যের মধ্যে, ইন্দোনেশিয়া ছাড়া এখনো কেউ সাড়া দেয়নি।
মন্তব্যের জন্য ভয়েস অফ আমেরিকার খেমার সার্ভিস নমপেনে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের দূতাবাসে যোগাযোগ করেছে।তবে, সোমবার সকাল পর্যন্ত তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা ভয়েস অফ আমেরিকার খেমার সার্ভিসকে বলেছেন, মহড়াগুলো বেইজিংকে বিচলিত করতে পারে।কেননা, চীন, দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে জোর করেই দাবি করছে।
.২৭ মে বেইজিং; কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের সাথে যৌথ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। তবে, এ বিষয়ে বিশদ বিবরণ দেয়নি। বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স অ্যান্ড ডিপ্লোমেসির আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ঝুও হুয়া গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, এই মহড়া “আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি স্থিতিশীলতার উপাদান হিসেবে কাজ করবে।”