যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বাহিনী আফগানিস্তানে অনুপস্থিত থাকায় আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আফগানিস্তানের শাখাগুলো সংখ্যা এবং ক্ষমতায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে আফগানিস্তান দ্রুত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে- এমন প্রচুর বিতর্কিত প্রমাণ রয়েছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, “আল-কায়েদা তালিবান শাসিত আফগানিস্তানকে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে দেখে” এবং আল-কায়েদা এবং তালিবান একটি পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইএস-খোরাসান বা আইএসআইএস-কে নামে পরিচিত ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তালিবানের অক্ষমতা, সেইসাথে তালিবান শাসনের প্রতি অসন্তোষকে নিজ সুবিধার জন্য ব্যবহার করছে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে।
এক বছর আগে আফগানিস্তানে আল-কায়েদার কয়েক ডজন সদস্য ছিল বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে আফগানিস্তানের বাইরে ৩০ থেকে ৬০ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেইসাথে অতিরিক্ত ৪০০ যোদ্ধা, ১৬০০ পরিবারের সদস্য এবং বেশ কয়েকটি নতুন প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আইএস-খোরাসানের সদস্য সংখ্যা ৪ হাজার থেকে ৬ হাজারের মধ্যে রয়েছে, অন্তত ১৩টি প্রদেশে শক্তিশালী ঘাঁটি বা শিবির রয়েছে এবং কাবুল ও তার বাইরেও পৌঁছাতে পারে এমন একটি স্লিপার সেলের নেটওয়ার্ক রয়েছের
পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং গবেষকরা সাধারণত জাতিসংঘের প্রতিবেদনগুলোকে তথ্যের একটি মূল্যবান উৎস হিসেবে দেখেন, কারণ এতে একাধিক দেশের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।