ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় শুক্রবার ভারতের পশ্চিম উপকূলরেখা বরাবর তাণ্ডব চালিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, গাছপালা, বৈদ্যুতিক পিলার উপড়ে গেছে এবং বেশকিছু শিপিং কন্টেইনারকে দূরে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
বিপর্যয়-এর ধ্বংসযজ্ঞের ফলে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চল ও পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আর, সম্ভাব্য নিশ্চিত তাণ্ডব থেকে বাঁচতে,অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, গত বছরে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, বিপর্যয়-এর প্রভাবে আগামী দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
বাড়ি, শস্য, সড়ক ও টেলি-যোগাযোগে গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা করে, জনগণকে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে বিপর্যয় । দমকা হাওয়া আকারে, কখনো কখনো এর গতিবেগ ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ভারতের গুজরাতে প্রবেশ করলে এই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে পড়বে। এই রাজ্যের ধর্মীয়স্থানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার ও পরিশোধিত পানীয় জল বিতরণ করছে। এদিকে, জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে যে, ভারত ও পাকিস্তানের ৬ লাখ ২৫ হাজার শিশু তাৎক্ষণিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।