মানবাধিকার কর্মীরা এবং প্রাক্তন কর্মকর্তারা বেইজিং ’এর বিরুদ্ধে চীনা এবং আন্তর্জাতিক উভয় আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছেন; তারা বলছেন বেইজিং উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার শরণার্থীকে আসন্ন বিপদে ফেলেছে।
চীন বিষয়ক কংগ্রেশনাল এক্সিকিউটিভ কমিশনের (সিইসিসি) চেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথ বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ২০০০ উদ্বাস্তু চীনা সীমান্তে “আসন্ন জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায়” চীনা সরকার কর্তৃক আটক রয়েছে। তারা তাদেরকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করছে।
মহামারী চলাকালীন দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ থাকায় বেইজিং কর্তৃক আটক উত্তর কোরীয়দের ভাগ্য নিয়ে আ্লোচনার জন্য মঙ্গলবার কমিশন শুনানি করেছে। উত্তর কোরিয়ার জন্য প্রত্যাবাসন মানে নির্যাতন, শ্রম শিবিরে জোরপূর্বক শ্রমপ্রদান যা পিয়ংইয়ং সরকারের জন্য রপ্তানি আয় আনে বা মৃত্যু।
যারা নিপীড়ন, যুদ্ধ বা সহিংসতার কারণে নিজেদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, তাদেরকে জাতিসংঘ শরণার্থী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
ঝুঁকির মুখে উদ্বাস্তুরা
উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করতে নিয়োজিত সোওল ভিত্তিক একটি গোষ্ঠী সিটিজেনস এলায়েন্স ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটসের মতে, বেইজিং এবং পিয়ংইয়ং শরনার্থীদেরকে উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
গ্রুপটি জানায়, বেইজিং এবং পিয়ংইয়ং-কে সংযুক্ত করা ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কগুলো যেগুলো শরণার্থীদেরকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করে তারা শুধুমাত্র উত্তর কোরিয়ার সরকার এবং চীনের কোম্পানিগুলোর জন্য আনুমানিক ২ কোটি ২৬ লাখ ডলার উপার্জন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়া থেকে উদ্ভূত পণ্যের [একটি] অংশ কিন্তু চীনা কোম্পানির জন্য উৎপাদিত হওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। পণ্যগুলো সম্ভবত চীন থেকে প্রত্যাবাসিত উত্তর কোরিয়ার শরণার্থীদেরকে আটক করে কারাগারে তৈরি করা হয়েছে। ”