যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এখন বেইজিংয়ে। ২০১৮ সালের পর তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শীর্ষ কূটনীতিবিদ হিসেবে চীন সফরে গেছেন। ব্লিংকেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং, চীনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ওয়াং ইর সঙ্গে দেখা করবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংইয়ের সঙ্গেও তার দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা দুই দেশের সম্পর্ককে স্থিতিশীল করা ও শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার চ্যানেল খোলা রাখার প্রয়োজনীয়তাকে যুগপৎ স্বীকার করেছেন।
তবে এ সফরে মানবাধিকার, তাইওয়ান, প্রযুক্তি ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ২ দেশের মাঝে মতভেদ দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশা খুবই কম।
শুক্রবার সন্ধ্যায়, চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার অল্প সময় আগে ব্লিংকেন ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চীনা সহকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর “অত্যন্ত বাস্তবসম্মত উদ্বেগ” নিয়ে খুবই খোলাখুলি আলোচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ব্লিংকেনের বৈঠকের আলোচনা সূচীর মধ্যে যেসব বিষয় প্রাধান্য পাবে, তার মধ্যে আছে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, মাদকবিরোধী উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, অন্যায়ভাবে চীনে আটক থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মানুষের মাঝে বিনিময়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, উভয় দেশের নিজ নিজ স্বার্থেই যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখা উচিৎ। পেন্টাগন একইসঙ্গে আশা করে বেইজিং মিলিটারি হটলাইনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেবে, যাতে জেনারেলরা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময় কথা বলতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তাইওয়ান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জাহাজের প্রায়-সংঘাতের উদাহরণ দেওয়া হয়।
পর্যবেক্ষকরা জানান, অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও ২ দেশের সরকার এ বছরের শেষের দিকে একটি সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।