সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ভয়াবহ সংঘর্ষে এক কিশোরসহ ৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। এই ঘটনায় বোমার আঘাতে সেনার একটি গাড়িকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছিল এবং এক সামরিক হেলিকপ্টার বিরল হামলা চালায়।
সেনা জানিয়েছে, জেনিনে এই লড়াইয়ে সাতজন ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে। একাধিক হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার করতে সেনাবাহিনী ফ্ল্যাশপয়েন্ট শহরে হানা দিলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। বন্দুকধারীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্র-চালিত শান্তিরক্ষা কর্মসূচী প্রায় এক দশক বন্ধ থাকায় জেনিন ও পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য অংশ কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের ক্রিয়াকলাপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রয়টার্সের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সাঁজোয়া সৈন্য পরিবহন ঘিরে বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে। অন্য কয়েকটি ক্লিপে দেখা গেছে, সামরিক হেলিকপ্টার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে এবং আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছে।
এক সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ফাঁকা জায়গায় গুলি ছুঁড়েছে বন্দুকধারীদের হটিয়ে দিতে, যেহেতু সৈন্যবাহী গাড়ি থেকে হতাহতদের বের করে আনা হচ্ছিল। হেলিকপ্টার থেকে অগ্নিশিখা ছাড়া হয়েছিল কিনা তা এখনও কেউ নিশ্চিত করেনি।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইলের বিমান ব্যবহার “আমাদের যোদ্ধাদের এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য করবে যা শত্রুপক্ষকে অবাক করে দেবে।”
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, তিনজন পুরষ নিহত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সীও রয়েছেন। ইসলামিক জিহাদ এদের একজনকে তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে। এই মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, আরও ৪৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
হামাস বলেছে যে তাদের যোদ্ধারাও এই সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিল। জেনিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সোমবারের হানার সময় অন্তত একজন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।