জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, দেশগুলো মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সকল মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংকটের মুখে রয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের চার সপ্তাহের অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তুর্ক বলেন, জাতিসংঘের মূল ভিত্তি মানবাধিকার এখন 'সংকটময় সন্ধিক্ষণে' রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার চেয়ে দমনমূলক সরকারগুলোর স্বার্থই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
কয়েক ডজন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক পর্যালোচনায় তুর্ক বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলে সংঘটিত নৃশংসতা এবং অপরাধের কথা তুলে ধরেন।
কয়েকটি সরকারকে বাদ দেওয়া এই প্রতিবেদনে তিনি হন্ডুরাসের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করে, ভূমি-সম্পর্কিত দ্বন্দ্ব এবং "মানবাধিকার এবং পরিবেশ রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ" সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিকারাগুয়ার কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেন, "সুশীল সমাজের ওপর অত্যন্ত কঠোর দমন-পীড়ন এবং নাগরিক স্থান ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।“
তুর্ক রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান যাতে রাশিয়ান ফেডারেশন অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল এবং রাশিয়ান ফেডারেশন উভয় জায়গায় তার কর্মীদের প্রবেশাধিকার দেয়া হয়। তিনি বলেন- "কমপক্ষে, বেসামরিক বন্দী, যুদ্ধবন্দী এবং ইউক্রেনীয় শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের এই অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের সাথে দেখা করার জন্য সুযোগ দেয়া হউক।“
হাই কমিশনার সাব-সাহারান আফ্রিকায় নির্যাতন ও বৈষম্যের মারাত্মক ঘটনাকে চিহ্নিত করেন। যেমন উগান্ডায়, যা সম্প্রতি সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আইন গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন এমআইএনইউএসএমএ প্রত্যাহারের জন্য মালির অনুরোধের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "মানবাধিকারকে অবশ্যই সবসময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে হবে।