অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের সাথে ৪৮০ কোটি ডলারের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই হ্যান্ডআউট ছবিতে চশমা ৩ পারমাণবিক চুল্লি ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে চশমাতে চিত্রিত হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই হ্যান্ডআউট ছবিতে চশমা ৩ পারমাণবিক চুল্লি ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে চশমাতে চিত্রিত হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সপ্তম চীনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য মঙ্গলবার পাকিস্তান এবং চীন ৪৮০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

১২০০ মেগাওয়াটের প্রকল্পটি পাকিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় চশমা শহরে স্থাপন করা হবে, সেখানে বেইজিং ইতোমধ্যে প্রায় ১২৩০ মেগাওয়াটের যৌথ আউটপুটসহ চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট তৈরি করেছে।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ চীনের জাতীয় পারমাণবিক সহযোগিতা এবং পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের তদারকি করেন।

চুক্তি অনুযায়ী, চীনা কোম্পানি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের জন্য এইচপিআর ওয়ান থাউজেন্ড বা হুয়ালং ওয়ান নামে পরিচিত এইচপিআর ওয়ান থাউজেন্ড নিয়োগ করবে। এটি হবে পাকিস্তানের তৃতীয় স্থাপনা যেখানে এইচপিআর ওয়ান হান্ড্রেড বা প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর প্রযুক্তি থাকবে।

শরীফের জোট সরকার পাকিস্তানের নজিরবিহীন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছে। এর মধ্যে অর্থ পরিশোধের সংকটও রয়েছে।

চীন সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর করাচিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এর প্রতিটির ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে।

চীন পরম মিত্র পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি নামে পরিচিত এই করিডোর গত এক দশকে সড়ক নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বন্দর নির্মাণে চীন ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।

উভয় দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, বেইজিং-এর বৈশ্বিক বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনিশিয়েটিভের একটি সম্প্রসারণ হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং পাকিস্তানের দূর্বল জ্বালানি সংকটের অবসান ঘটিয়েছে।


XS
SM
MD
LG