অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পররাষ্ট্র দপ্তরের বাইরের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে ইরানি সক্রিয়বাদীরা, আলোচনা নিয়ে আশাবাদী


ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রের দপ্তরের হ্যারি এস ট্রুমান ভবনের প্রবেশপথের কাছে, ফুটপাতে দুই সপ্তাহের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছে ন্যাশনাল সলিডারিটি গ্রুপ ফর ইরান নামের সক্রিয়বাদী গোষ্ঠী; (মাইকেল লিপিন/ভিওএ) ১৬ জুন ২০২৩।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রের দপ্তরের হ্যারি এস ট্রুমান ভবনের প্রবেশপথের কাছে, ফুটপাতে দুই সপ্তাহের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছে ন্যাশনাল সলিডারিটি গ্রুপ ফর ইরান নামের সক্রিয়বাদী গোষ্ঠী; (মাইকেল লিপিন/ভিওএ) ১৬ জুন ২০২৩।

ইরানি-আমেরিকান সক্রিয়বাদীরা, যারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বাইরে এক ব্যতিক্রমী অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা বলছেন বাইডেন প্রশাসনের সাথে তারা যে আলোচনা শুরু করেছিলেন সে বিষয়ে তারা আশাবাদী। এই সক্রীয়বাদীরা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতিতে রাশ টানতে, ইরানকে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য আর্থিক সহযোগিতার বিরোধিতা করে পররাষ্ট্র দপ্তরের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।

শুক্রবার ভিওএ-কে পাঠানো এক বিবৃতিতে অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল সলিডারিটি গ্রুপ অফ ইরান (এনএসজিইরান) বলেছে, “আমরা আশাবাদী যে, পররাষ্ট্র দপ্তর আমাদের সঙ্গে আলোচনার একটা পথ উন্মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে আমাদের আশা, ইরানের বাইরের ও ভেতরের ইরানিদের উদ্বেগ ও দৃষ্টিভঙ্গি শোনা হলে, ইসলামি শাসকদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নে সুবিধা হবে। আর, তারা এই উদ্বেগ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।”

এনএসজিইরান জানিয়েছে, তাদের সংগঠক সিয়ামক আরাম ও অন্য সদস্যরা বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র দপ্তরে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ঐ দফতরের ইরান বিষয়ক শাখার এক কর্মকর্তা অংশ নেন। এনএসজিইরান তার নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করে। গত ৩ জুন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর পর, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার সঙ্গে এটা দ্বিতীয় বৈঠক বলে জানিয়েছে এনএসজিইরান। তাদের দাবি, পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন।

সক্রিয়বাদীরা ১৪ দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন ১৬ জুন। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্রথম বার প্রকাশ্যে এই প্রতিবাদকে স্বীকৃতি দিলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের প্রথম বৈঠক হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।"

মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে ১৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”এটা বলা যথার্থ যে, পররাষ্ট্র দপ্তরে যারা কাজ করেন তারা এই বিক্ষোভের বিষয়টি জানেন। আমরা প্রতিদিন তাদের পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বা হেঁটে দপ্তরে এসেছি। প্রয়োজনমতো আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবো।”

শুক্রবার ট্যুইটারে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে এনএসজিইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে তারা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছে, যে-দাবিগুলি যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের ইরানি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকারীরা,কর্তৃত্ববাদী ইসলামি শাসনের বিরুদ্ধে ইরানে প্রতিবাদ শুরুর পর, গত নয় মাস ধরে উচ্চারণ করে আসছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জেসিপিওএ-র প্রত্যাবর্তন নয়, আর ইসলামি শাসকদের অর্থ জোগাতে পারে এমন কোনো চুক্তি নয়।

বেসামরিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির আড়ালে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে, পশ্চিমা দেশ ও ইসরাইলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।

এনএসজিইরান-এর প্রতিনিধি আরাম, এই সপ্তাহের ফ্ল্যাশপয়েন্ট ইরান পডকাস্টে তাদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিনে তিনি ভিওএ-র সঙ্গে বিক্ষোভস্থল থেকে কথা বলেন।

XS
SM
MD
LG